শিলিগুড়িতে পালিত হলো বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো শিলিগুড়িতে ও পালিত হচ্ছে দিবসটি।

প্রসঙ্গত, থ্যালাসেমিয়া হলো একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত রোগ। এসব রোগী ছোট বয়স থেকেই রক্তস্বল্পতায় ভোগে। এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- তারা যেহেতু তাদের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি করতে পারে না, তাই অন্যের রক্ত ট্রান্সফিউশন নিয়ে তাদের জীবন চালাতে হয়। মূলত,বর্তমানে প্রতি ১৪ জনে একজনের থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে আর ৭০ হাজারের বেশি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ৬ হাজার শিশু বিভিন্ন রকমের থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার সাত শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। থ্যালাসেমিয়া বাহকদের পরস্পরের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর নতুন করে ৭ হাজার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া রোগীরা প্রতি মাসে এক থেকে দুই ব্যাগ রক্ত গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। চিকিৎসা না করা হলে এ রোগীরা রক্তশূন্যতায় মারা যায়।

সোমবার বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে শিলিগুড়ি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সুইমিং পুলের সামনে একটি অনুষ্ঠান করা হয় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দের কিছু খাবার তুলে দেওয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here