গ্রেফতার গৃহবধূ খুনে মূল অভিযুক্ত স্বামী। বুধবার রাতে অভিযুক্ত রামপ্রসাদ পোদ্দার কে গ্রেপ্তার করলো আশিঘর আউটপোস্ট এর পুলিশ।
গত রবিবার শিলিগুড়ির মাঝাবাড়িতে উদ্ধার হয় ললিতা পোদ্দার ওরফে মামনি সাহা নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ। মামণির বাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকার অম্বিকানগরে।
সেই ঘটনায় এবার নয়া মোড়। একদিকে তার পুরোনো প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করলো শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের এনজেপি থানার পুলিশ। অপরদিকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত স্বামী। রবিবার মাঝাবাড়িতে ঘরের মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে পাওয়া যায় গৃহবধূ মামনির নিথর দেহ। আশিঘর আউটপোস্ট পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছিল গৃহবধূর গলায় ছিল কালশিটে দাগ। ইতিমধ্যেই গৃহবধূর পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে ভক্তিনগর থানার আশিঘর আউটপোস্টে। যে অবস্থায় গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয় তা দেখে ভক্তিনগর থানার আশিঘর আউটপোস্ট এর তদন্তকারী পুলিশেরও অনুমান হয় তাকে খুন করা হয়েছে। পলাতক স্বামী রামপ্রসাদ পোদ্দারের সন্ধানে তল্লাশি চালায় আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ, অবশেষে মিলে গেল সাফল্য। গ্রেপ্তার অভিযুক্ত স্বামী।
এদিকে ওই মহিলার বিয়ের আগে অম্বিকানগর এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল বলে জানাতে পেরেছিল পুলিশ। বুধবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশের মাধ্যমে আশিঘর আউটপোস্ট এর পুলিশ খবর পায় ওই গৃহবধূর সাথে যার সম্পর্ক ছিল সেই সৌরভ বর্মণ নামে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার মোড়বাজারে দিদা বাড়িতে গিয়েছিল সৌরভ। সেখানেই তার দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ললিতার বিয়ের আগে সৌরভের সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক ছিল। রবিবার ললিতার খুনের খবর পাওয়ার পর থেকেই মনমরা হয়েছিল সৌরভ। সেভাবে কথা বলছিল না কারো সাথেই। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আগামীকাল অভিযুক্ত রামপ্রসাদ পোদ্দারকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।