ছট পুজোর ঘাট পরিদর্শনে উপস্থিত হলেন কুচবিহার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা

বিগত বছরের দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে চলতি বছর কোনরকম চুক্তিতে নারাজ কোচবিহার জেলা প্রশাসন। তাই মঙ্গলবার সকাল সকাল কোচবিহারে তোর্ষা নদীর ঘাট অর্থাৎ ছট পুজোর ঘাট পরিদর্শন করতে উপস্থিত হলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।এদিন উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার কে কান্নান সহ কোচবিহার পৌরসভার পৌর আধিকারিক ভূষণ সিং, কোচবিহার কোতোয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়, কোচবিহার শহর মহকুমা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বজিৎ মুখার্জি সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রশাসক ভূষণ সিং বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা সাক্ষ্য তৈরীর কাজ শুরু করে দিয়েছি। কারণ ছট পুজো উপলক্ষে নদীর দুই পাশের ঘাট এই ভক্ত দের সমাগম ঘটে। বিগত বছরের দুর্ঘটনার স্মৃতি যাতে পুনরায় স্থাপন না হয় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার এর মধ্যে সাঁকো আমাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হবে।আমরা পরীক্ষা করে দেখবো নবনির্মিত সাঁকো এর গুণগতমান কি আছে। তারপরেই আমরা যাত্রী চলাচল এবং ভক্তদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করব। কোন ত্রুটি দেখা গেলে অবিলম্বে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।বিগত দিনে যারা কুড়ি পঁচিশ বছর থেকে সাক্ষ্য তৈরি করছে তাদের হাতেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা কোন রকম দুর্ঘটনা আশা করছি না।ছট পুজো উপলক্ষে কোচবিহার তোরসা নদীর ঘাটে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।যারা পুজো করেন তারা বাদ দিয়েও প্রচুর মানুষ ঘাটে উপস্থিত থাকেন।তাই তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত কোচবিহার জেলা প্রশাসন।ইতিমধ্যেই বাজি পোড়ানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একসাথে একই খাটে প্রচুর মানুষের সমাগম নিয়ে কিছুটা চিন্তিত রয়েছে প্রশাসন।বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর জেলা প্রশাসন একসাথে প্রচুর মানুষের সমাগম কিভাবে আটকানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন।সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এই মুহূর্তে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেছেন ছট পুজো উপলক্ষে পুলিশি ব্যবস্থা যথেষ্ট থাকবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here