প্রার্থী মনোনয়নপত্রে নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ও সাতগাছিয়া তৃণমূল বিধায়ক সোনালি গুহ ক্ষুব্ধ হয়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে।
জানা গিয়েছে,এই তালিকায় রয়েছেন মালদহ হবিবপুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী সরলা মুর্মু ও বাঁকুড়ার তৃণমূল বিধায়ক শম্পা দরিপা। এদিন হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ে এই কজন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে আরও বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোনালি গুহকে এবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়নি। তাই তিনি মনোক্ষুন্ন। এমনকি প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তিনি দৃশ্যত কেঁদে ফেলেছিলেন। সেই বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে এসেছিলো। এরপর সোনালি গুহ প্রার্থী পদ না পেয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছিলেন, দিদির সুবুদ্ধি হোক। আমি জানিনা আমায় কেন প্রার্থী করা হলো না। এরপরই সোনালি গুহ যোযাযোগ করেন তাঁর প্রাক্তন দলনেতা ও বর্তমান বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের সঙ্গে। ঠিক হয় আজই সোনালি গুহ বিজেপিতে যোগ দেবেন।এদিকে সরলা মুর্মুকে আজই হবিবপুর বিধানসভার প্রার্থী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আজই তৃণমূল ছেড়ে সরলা মুর্মু বিজেপিতে যোগ দেবেন। তৃণমূলের অন্দরের খবর সরলা মুর্মু অসুস্থতার জন্য প্রার্থী হচ্ছেন না। তাঁর জায়গায় প্রদীপ বাস্কে হাবিবপুরের প্রার্থী হলেন।বাঁকুড়ার বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক শম্পা দরিপা আজ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার প্রার্থী পদ ঘোষণার পর থেকেই তিনি উষ্মা প্রকাশ করছিলেন। সেই থেকেই গুঞ্জন হচ্ছিলো শম্পা দরিপা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। আজ সেই আশংকাই বাস্তব হতে চলেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তৃণমুল এই সঙ্কট থেকে বার হবে কি ভাবে? বিজেপি বলছে,তৃণমূল নিজেরাই খেলা হবে স্লোগান দিয়েছিলো। এবার খেলা শুরু হলো। তবে তৃণমূলের দাবি কেউ দল ছেড়ে যেতেই পারেন। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিরুচি। দলের সম্পদ কর্মীরা। তারা দলে আছে। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মত অন্য। তাঁরা বলছেন,নির্বাচনের মুখে তৃণমূলের কাছে এভাবে আবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দল ভাঙা সংকটের বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে প্রার্থীদের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনাতো রাজ্য রাজনীতিতে বিরল ঘটনা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।