মোদীর বিগ্রেডের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে পাঁচ হাজার লোক নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা পূরণ করতে পারল না জেলা বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে অবশ্য ভালই লোক গিয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে পাঁচ হাজার লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলার ৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটিতে একটি করে বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকেই সেই বাস ঘুরিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বিজেপি সূত্রে খবর, এ দিন মোদীর সভায় জেলা থেকে বাস গিয়েছে গোটা পঞ্চাশেক। এর মধ্যে ঝাড়গ্রাম শহরের ১৮টি ওয়ার্ড থেকে মাত্র একটি ওয়ার্ডে বাস গিয়েছিল। বেলপাহাড়ির তামাজুড়ি ও গোপীবল্লভপুর-২ ব্লক, গোপীবল্লভপুর ¬১ ব্লক থেকেও অনেক বাস ঘুরিয়ে দিয়েছেন মানুষজন। তাঁরা বিগ্রেডে যাননি। যদিও ঝাড়গ্রামে দলীয় প্রার্থী তথা জেলা বিজেপির সুখময় শতপথীর দাবি, লক্ষ্য মাত্রার থেকে বেশি লোক গিয়েছে।
এ দিন বিগ্রেডের সভায় জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষও যাননি। বিজেপি সূত্রে খবর, গোপীবল্লভপুর আসনে প্রার্থীর দাবিদার ছিলেন অবনী। টিকিট না পাওয়ায় তাঁর গোঁসা হয়েছে। তবে অবনী বলছেন, “গত সপ্তাহে দুর্ঘটনা হয়েছিল। তাই যেতে পারিনি।” তবে বিজেপির এক নেতা মানছেন, “ওই দুর্ঘটনায় অবনীবাবুর সে রকম কিছুই হয় নি। গত কয়েকদিন ধরে তিনি বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন এবার টিকিট মিলছে না তাঁর ভাগ্যে। তাই তিনি একপ্রকার ক্ষুদ্ধ রয়েছেন।”
মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সূত্রে অবশ্য খবর, প্রায় ৩০ হাজার কর্মী- সমর্থক জেলা থেকে ব্রিগেডে গিয়েছেন। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর গুছাইত বলেন,”ব্রিগেডে জেলা থেকে ৩৫০টি বাস গিয়েছে। ২০০টি গাড়ি গিয়েছে। ট্রেনেও অনেকে ব্রিগেডে গিয়েছেন।” দলের প্রার্থীরাও সভায় গিয়েছিলেন। মেদিনীপুরের প্রার্থী শমিত দাশ, নারায়ণগড়ের প্রার্থী রমাপ্রসাদ গিরিরা রবিবার সকালে গাড়ি করেই ব্রিগেডের সভার উদ্দেশে রওনা দেন। সভার সমর্থনে অবশ্য এ বার মেদিনীপুরে তেমন পথসভা, মিছিল চোখে পড়েনি।