একুশের নির্বাচনে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই লালমাটির দেশে আদা-জল খেয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন তিনি। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ার প্রচারসভার মঞ্চ থেকে সায়ন্তিকাকে ‘প্রিয় পাত্রী’ বলে সম্বোধন করে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। সেই তারকা প্রার্থীর হলফনামা দেখেই এবার শোরগোল রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
জানা গিয়েছে, দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, সায়ন্তিকার নিজের নামে কোনও বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা জমি নেই। বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর মোট ৮টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অন্যান্য তারকা প্রার্থীরা প্রায় সকলেই যেখানে কোটি দোরগোড়ায় বিরাজমান আবার কারও বা সম্পত্তিক পরিমাণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়, সেখানে সায়ন্তিকা তুলনামূলকভাবে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন। তবে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা অনেক হলেও তাতে জমা টাকার পরিমাণ নামমাত্র। একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ টাকা।
অন্যদিকে, বাকি ৪টি অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স শূন্য! ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে তাঁর মোট সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৪৬৩ টাকা। তাঁর হাতে নগদ টাকা আছে মাত্র ৪৩ হাজার ১২৭। তবে বাড়ি, গাড়ি, নিজস্ব জমি না থাকলেও তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ কোটির গণ্ডি পেরতে পারেনি। বরং সঞ্চয় এবং ব্যাঙ্কের কাছে তাঁর ঋণের পরিমাণ একে অপরকে সমানে টক্কর দিচ্ছে।তবে গাড়ি এবং গয়নার প্রতি তাঁর আলাদা ভালবাসা রয়েছে বোঝাই যায়। তাই ব্যাঙ্ক ব্যালান্স না থাকা সত্ত্বেও ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৬ টাকার একটি মার্সিডিজ বেন্জ কিনেছেন তিনি। ২০১৮ সালে এই বহুমূল্য গাড়িটি কেনেন তিনি।
উল্লেখ্য, সায়ন্তিকার জমা দেওয়া হলফ নামা অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ সালে সায়ন্তিকার আয়ের পরিমাণ ছিল ১৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৮০ টাকা। ২০১৭-১৮-তে অর্থবর্ষে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৫২০ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় ৩৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯০ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আয় ২২ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৮০ টাকা। ২০২০-২১ শেষ অর্থবর্ষে নিজের আয়ের পরিমাণ ১১ লক্ষ ১৫ হাজার ৬০ টাকা দেখিয়েছেন সায়ন্তিকা।