ছাপ্পা ভোট হয়নি, বয়াল ৭ নম্বর বুথ নিয়ে মমতার অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন!

গতকাল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষের পর কমিশনের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, নন্দীগ্রামের বয়াল মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর বুথের মধ্যে মমতাকে ঘেরাও করে রাখা এবং তার জেরে ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠছিল। সেই পরিস্থিতিতে সাধারণ পর্যবেক্ষক হেমেন দাস ও পুলিশ পর্যবেক্ষক আশুতোষ রায়কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারপর বিকেল চারটে নাগাদ একটি রিপোর্ট পাঠান তাঁরা। রিপোর্ট অনুয়াযী, প্রায় দেড় ঘণ্টা থাকার পর দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ বুথ ছেড়ে বেরিয়ে যান তৃণমূলনেত্রী। মমতা থাকার সময় ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়নি। বরং ৪ টে ৬ মিনিট পর্যন্ত ওই বুথে ৯৪৩ টি ভোটের মধ্যে ৭০২ টি ভোট পড়ে যায় বলে রিপোর্ট জানানো হয়েছে।

এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মমতার হাতে লেখা একটি অভিযোগপত্র কমিশনে জমা পড়েছে।অভিযোগপত্রটি বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামিকাল সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে বয়াল মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর বুথে যান মমতা। যে বুথে ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছিল। পরের দু’ঘণ্টা সেখানেই বুথের মধ্যে আটকে থাকলেন তৃণমূলনেত্রী। সেই সময় বুথের বাইরে থেকে ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান’ ওঠে। পালটা ‘খেলা হবে’ স্লোগান তোলা হয়। রীতিমতো সম্মুখ-সমরে অবতীর্ণ হন তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে যায় পুলিশ। নামানো হয় র‍্যাফ। কিছুক্ষণ পর পৌঁছায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষপর্যন্ত প্রায় দু’ঘণ্টা পর মমতাকে বুথ থেকে বের করা হয়। কেন একজন প্রার্থী বুথের মধ্যে এতক্ষণ থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। তারইমধ্যে মমতা দাবি করেন, বুথে ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here