নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গিয়েছেন। কোনও মাইন্ড গেম এটা বদলাতে পারবে না’। ভোট শেষে ‘দৃপ্তকণ্ঠে’ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।এদিন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ-কে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘বাংলাকে যদি এতই ভালোবাসেন, তাহলে শেষ দফায় ভোটে লড়ার জন্য মনোনয়ন দাখিল করছেন না? আসুন, লড়ুন। আমরা স্বাগত জানাচ্ছি’।
দিনভর টানা উত্তেজনা। বুথ দখল অভিযোগ পেয়ে হুইলচেয়ারে চেপেই আসরে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়াল অঞ্চলের একটি বুথে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বুথ চত্বরে তখন উত্তেজনা চরমে পৌঁছে গিয়েছে। ওই বুথ থেকে রাজ্যপালকে ফোন করলেন ক্ষুদ্ধ মমতা। নালিশ জানালেন, ‘এখানে মানুষজনকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। আইন শৃঙ্খলা আমার হাতে নেই। আপনি ব্যবস্থা নিন’। ঘণ্টা দুয়েক পর যখন বুথ থেকে বেরোচ্ছেন, তখন আবার অভিযোগ করলেন, ‘কয়েকটা এলাকার লোকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এখানে চিটিংবাজি হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে আধা সামরিক বাহিনী’।
এদিন উলুবেড়িয়ায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘নন্দীগ্রাম হারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্য কোনও আসন থেকেও মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন জল্পনা রয়েছে। আপনিই বলুন দিদি, এই জল্পনা সত্যি কিনা’। কিছুক্ষণ পরেই পাল্টা বিবৃতি দেয় তৃণমূল। বিজেপির দাবি খারিজ করে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘নন্দীগ্রাম থেকে জিতছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। আর কোনও আসন থেকে লড়ছেন না তিনি’।
ভোট শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে ফের মোদীকে নিশানা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁরা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ন্যাক্কারজনক মন্তব্যে একেবারেই অবাক হইনি। আমার প্রধানমন্ত্রীর পদকে সম্মান করি, কিন্তু নরেন্দ্র মোদির জন্য কোনও সম্মান নেই। বাংলাকে যদি এতই ভালোবাসেন, তাহলে নরেন্দ্র মোদিজি,অমিত শাহজি শেষ দফায় ভোট লড়ার জন্য মনোনয়ন দাখিল করছেন না কেন? আসুন, লড়ুন। আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অনেক এমপিকে তো পদত্যাগ করতে বসেছেন। তাঁরা বাংলায় লড়ছেন, আপনারাও লড়ুন না’। সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আমরা তৃণমূলস্তর থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন। নন্দীগ্রামে বিজেপি হেরেছে’। স্রেফ বাংলার ভোট নয়, স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের কাছে ফাইল প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।