বঙ্গ যুদ্ধের মহারণে আজ তৃতীয় দফার ভোট। এ পর্বে তিন জেলার ৩১ আসনে হবে ভোটগ্রহণ। হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার আসনগুলোতে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা-
তৃতীয়দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬টি আসনে ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রগুলো হল, বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি, রায়দীঘি, মন্দিরবাজার, জয়নগর, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, ক্যানিং পশ্চিম, ক্যানিং পূর্ব, মগরাহাট পূর্ব, মগরাহাট পশ্চিম, ডায়মন্ডহারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর।
হুগলি-
এই জেলার মোট ৮টি আসনে ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রগুলো হল জাঙ্গিপাড়া, হরিপাল, ধনেখালি, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুল
হাওড়া-
এই জেলার মোট সাতটি আসনে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ। এই আসনগুলি হল, শ্যামপুর, বাগনান, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, জগৎবল্লভপুর, উলুবেড়িয়া উত্তর ও উলুবেড়িয়া দক্ষিণ।
এদিন তৃতীয় দফায় অশান্তি এড়াতে একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছে নির্বাচন কমিশন। মোট ৮৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে সমস্ত ভোট কেন্দ্র মিলিয়ে। তার মধ্যে ৬১৮ কোম্পানি বুথের নজরদারিতে মোতায়েন রয়েছে। বাকি বাহিনীকে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কমিশন সূত্রে খবর, অশান্তি এড়াতে শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই রয়েছে ৩০৭ কোম্পানি। এর মধ্যে বারুইপুর পুলিশ জেলায় ১৩০ কোম্পানি, ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলায় ১১৩ কোম্পানি, সুন্দরবন পুলিশ জেলায় ৬৪ কোম্পানি।
হাওড়তেও ১৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েচে। তার মধ্যে ১৩২ কোম্পানি থাকছে হাওড়া গ্রামীণে ও হাওড়া কমিশনারেটে থাকছে ১১ কোম্পানি। হুগলি গ্রামীণে রয়েছে ১৬৭ কোম্পানি বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত দু’দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। অভিযোগ উঠেছিল, কখনও বুথের ভিতর ঢুকে শংসাপত্র দেখতে চাইছেন, কখনও আবার গ্রামে ঢুকে ভোটারদের শাসাচ্ছেন।অভিযোগের পর এবার নড়েচড়ে বসল কমিশন। নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, বাহিনী শংসাপত্র দেখতে চাইবে না ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারবে না।