চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে শিলিগুড়িতে ফের ব্ল্যাক ফাংগাসে মৃত্যু হল আরও এক ব্যক্তির। এই নিয়ে শুধু মাত্র শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাংগাসে মৃত্যু হল তিন জনের।
মূলত বুধবারই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হয়েছিল শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রধাননগরের বাসিন্দা গায়ত্রী পাসওয়ান এবং শিলিগুড়ি সংলগ্ন গজলডোবার বাসিন্দা অঞ্জলি ব্যাপারীর। এবার বৃহস্পতিবার ভোরে ব্ল্যাক ফাংগাসে মৃত্যু হল শিলিগুড়ি চম্পাসারি এলাকায় মিলন মোড়ের বাসিন্দা ওঙ্কার নাথ চৌধরির। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে , ইএনটি বিভাগে ভেন্টিলেটর থাকাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসা বা অস্ত্রপ্রচার করার মতো সময় পাননি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।ওঙ্কারনাথ চৌধরি মাসখানেক আগে করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও পরে ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত হন। এর আগে তাঁর দুবার কিডনি প্রতিস্থাপনও হয়েছিল। এছাড়াও তিনি হাই সুগার এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ।
২০শে মে থেকে শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা থাকায় সেখানেও ২৪ঘণ্টা ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। এরপর ২৫শে মে ব্ল্যাক ফাংগাসে সংক্রমিত হলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী একাধিকবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ওঙ্কার নাথ চৌধরিকে স্থানান্তরিত করা যায়নি।
ওঙ্কারনাথ চৌধরির মেয়ে তুশালী চৌধরি বলেন, ” বাবাকে মেডিকেলে ভর্তি করার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা ছুটোছুটি করছিলাম । কিন্তু আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বেড না থাকায় বাবাকে ভর্তি নেওয়া যাচ্ছে না। তবে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ সূত্রের দাবি, ব্যক্তির শরীরে একাধিক রোগ থাকার দপন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় ওই ব্যক্তির ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃত্যুর ঘটে।