জলপাইগুড়ি: মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির কারণে যে তিস্তা নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছিল, সেই তিস্তা নদীর তীরেই জলপাইগুড়িতে মহালয়ার সকালে পিতৃতর্পণের ভিড় লক্ষ্য করা গেল। আতঙ্কের মধ্য দিয়েই এদিন পিতৃতর্পণ সারলেন অনেকে।
উল্লেখ্য মহালয়ার সকালে পূর্ব পুরুষদের তর্পন করা হয় নিয়ম নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।সেই অনুযায়ী এবারো চলছে তর্পন। তবে এবার একটু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকায়। কেননা পাহাড়ি রাজ্য সিকিমে ভয়াবহ বন্যার কারণে ফুলেফেঁপে উঠে তিস্তা নদী। সেই তিস্তা নদীতে ভেসে যায় পাহাড়ের উপরে থাকা সেনাবাহিনীর শিবির। যে কারণে তিস্তা নদীতে ভেসে আসে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত মর্টার সেল থেকে শুরু করে অন্যান্য সামগ্রী। তিস্তা নদীর জলে সেগুলি সমতলে চলে আসে। অনেকেই বুঝতে না পেরে সেনাবাহিনীর সেই ব্যবহৃত মর্টরসেল বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর তিস্তা নদীর তীরবর্তী ক্রান্তি ব্লকের চাপাডাঙ্গা পন্ডিত পাড়ায় মর্টরশেল ফেটে একজনের মৃত্যু হয় এবং পাঁচজন আহত হন।
এরপর তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে একাধিক মর্টরসেল উদ্ধার করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এবং নিরাপদ জায়গায় সেগুলি নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। পাশাপাশি তিস্তা নদী তীরেও মাঝে মধ্যেই মর্টরসেল বিষ্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। আর তাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। যে কারণে শনিবার সকালে কিছুটা আতঙ্কের মধ্যেই পিতৃতর্পণ সারলেন অনেকেই। তবে আতঙ্কের কারণে এদিন পিতৃতর্পনের জন্য ভিড় অনেকটাই কম ছিল বলে জানালেন অনেকে।