শিলিগুড়ি: চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির প্রথম মৃত্যু হল শিলিগুড়িতে। বুধবার শিলিগুড়ির ২৩ নম্বর ওয়র্ডের তরতাজা যুবকের মৃত্যু হয়। যুবক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। যদিও যুবক তার শ্বশুরবাড়ি শিলিগুড়ির ৭ নম্বর ওয়ার্ডেই বেশি থাকতেন।সেখানে তার একটি মুদির দোকান রয়েছে। তরতাজা যুবকের এভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লক্ষ্মী পাল। তিনি জানিয়েছিলেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন যুবক। তার চিকিৎসা দেরিতে হওয়ায় অবস্থা চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে যুবককে হয়ত এভাবে অকালে চলে যেতে হত না। যুবকের মৃত্যুর পর থেকেই যুবকের পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, মেয়র গৌতম দেব সহ পুরনিগমের বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন সহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর লক্ষ্মী পাল।
মেয়র গৌতম দেব দাবি করেন, বর্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কম হওয়ার কথা। প্রথম দিন থেকে পুরনিগম ডেঙ্গু মোকাবিলায় ছিল তৎপর। বাড়ি বাড়ি সার্ভে করতে গিয়ে পুরকর্মীরা বাঁধার মুখে পড়লেও থেমে থাকে নি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতার বার্তা। তারপরও এভাবে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সহমর্মিতা ব্যক্ত করে দুঃখ প্রকাশ করেন মেয়র। অন্যদিকে শিলিগুড়ি বিধায়ক শংকর ঘোষও যুবকের মৃত্যুর ঘটনা দুঃখ প্রকাশ করেন। বিধায়কের অভিযোগ ডেঙ্গু মোকাবিলায় সাফাই ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত ততটা গুরুত্ব পুরনিগমের তরফ থেকে দেওয়া হয় নি।
পাশাপাশি তার আরও অভিযোগ কোন ওয়ার্ডে কতজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, কোন ওয়ার্ডে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি এই সমস্ত তথ্য গোপন করা হয়েছে পুরনিগমের তরফ থেকে। তিনি সঠিক তথ্য প্রকাশ করার অনুরোধ জানান। যদিও মেয়র গৌতম দেব পুরনিগমের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।