পরিবেশ রক্ষার্থে তথা বায়ু দুষণ রোধে দীপাবলিতে বাজির পরিবর্তে আলোর উৎসব পালন করার বার্তা পরিবেশ প্রেমী সংস্থা ন্যাফের

শিলিগুড়ি: দীপাবলি হয়ে উঠুক আলোর উৎসব, বহু বছর থেকেই পরিবেশ প্রেমীরা জনসাধারণকে এই বার্তা দিয়ে আসছে। কিন্তু দীপাবলি এই আলোর উৎসবকে আরো আকর্ষণীয় করতে শব্দ দানবের পাশাপাশি বাজি পোড়ানোর ধুম পড়ে যায়৷ লক্ষ্মীনপুজোর দিন থেকে বাজি পোড়ানো শুরু হয়ে টানা ছটপুজো পর্যন্ত চলতে থাকে।

শ্যামাপুজোর দিন তো শব্দ দানবের বাড় বাড়ন্তে কান পাতাই দায় হয়ে যায়। দুষন কমাতে সরকার ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে শব্দ বাজির শব্দের মাত্রা যেমন বেঁধে দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি কম দুষণ ছড়ায় এমন গ্রীন ক্র্যাকার ছাড়া অন্য বাজিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ তবে প্রশাসনের ফাঁক গলে দেদার বিকোচ্ছে নিষিদ্ধ বাজি ও অধিক মাত্রার শব্দবাজি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে অধিকাংশই রয়েছে অধরা। আর দুদিন পরই দীপাবলি।

এই দীপাবলি তথা শ্যামা পুজোয় বাজি ফাটানোর বহরে পরিবেশ যে ফের সাংঘাতিক মাত্রায় দুষণ ছড়াতে চলেছে তা ভেবেই আঁতকে উঠছেন পরিবেশ প্রেমীরা। তাই দীপাবলির আগে ফের সাধারণ মানুষকে সচেতন করার বার্তা দিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাফ।বাজি বিশেষ করে নিষিদ্ধ বাজি ও শব্দ বাজি ফাটানোর বিরুদ্ধে পথে নেমে সচেতন করার উদ্যোগ নিল ন্যাফ। বুধবার হিলকার্ড রোডে ন্যাফের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সন্মেলনে হাজির হন ডাঃ শেখর চক্রবর্তী, ডাঃ শংখ সেন, ডাঃ মৃদুলা চ‍্যাটার্জি সহ নাট‍্যব‍্যক্তিত্ব পার্থ চৌধুরী ও সংগঠনের পক্ষে অনিমেষ বোস শংকর মজুমদার দীপনারায়ণ তালুকদার প্রমুখ।

এদিন তারা বাজি পোড়ানোর পর তার দুষণ থেকে মানুষের ও পশুপাখিদের কতটা ক্ষতি হয় তা বিস্তারে জানান। ডাঃ শেখর চক্রবর্তী এই নিষিদ্ধ ও অনুমোদন প্রাপ্ত বাজির বিষয় বিস্তারিত জানাতে গিয়ে বলেন ,সকল বাজিতেই দুষণ ছড়ায় এবং শরীরে ক্ষতি হয়।সমাজের সকলস্তরের কাছে অনুরোধ করেন বাজি বাদ দিয়ে আলোর উৎসবকে আলোকিত করে তুলুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here