জলপাইগুড়ি আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে পানীয় জল পৌছে দিতে হবে নক্সালবাড়ি ব্লকের হাতি ঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের শেপদল্লা গ্রামে। পানীয় জলের মামলা নিয়ে আজ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী। শুধু তাই নয় গতকালের মতো আজ, বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি নিজের চেয়ার ছেড়ে এজলাসে নিচে চেয়ারে বসে এই মামলার শুনানি করেন। এদিকে বিচারপতির নির্দেশের ফলে এবার পানীয় জল নিয়ে আশার আলো দেখছে শেপদল্লা গ্রামের বাসিন্দারা।
দার্জিলিং জেলার নক্সালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিসা গ্রামপঞ্চায়েত শেপদল্লা জোত পানীয় জলের সমস্যা। দীর্ঘদিন থেকেই বাসিন্দারা স্থানীয় মাঞ্ঝা নদি এবং ঝোড়ার জলের ওপর নির্ভর করে চলতে হতো। এর পরে সরকারি উদ্যোগে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হলেও শেপদল্লা জোতে জল পৌছায়নি বলে অভিযোগ।
পানীয় জল নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চাপাটির মাধ্যমে আবেদন নিবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। যে কারণে সেই মাঞ্ঝা নদির ওপরেই জোতের আদিবাসি সম্প্রদায় কে নির্ভির করে থাকতে হচ্ছে। যে কারণে পানীয় জল নিয়ে চলতি বছর মে মাসে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। সেই মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাসে। পর পর তিন দিন এই মামলার শুনানি করেন বিচারপতি। ডেকে পাঠানো হয় ভুক্তভোগী গ্রামবাসী সহ পাণীয়জলের কাজের সাথে যুক্ত সরকারি বেসরকারি সমস্ত আধিকারিকদের। সব পক্ষের কথা শুনে বিচারপতি নির্দেশ দেন আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে গ্রামে পাণীয় জল পৌছে দিতে হবে। আদালতের অ্যাডিশনাল এডভোকেট জেনারেল জয়জিত চৌধুরী আদালত বলেন সরকার জল জীবন মিশনের মাধ্যমে গ্রামে পাণীয়জল পৌছে দিতে কাজ করছে।সেই কাজ আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ হবে এবং গ্রামের সমস্ত পরিবার পানীয় জল পাবে এবং এই কাজ যেনো ঠিক মতো ও সরকারি নিয়ম মেনে হয় সেটা সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। অন্যদিকে গ্রামবাসিদের হয়ে মামলাকারী দিপু হালদার বলেন বিচারপতি নির্দেশে তারা খুশি।
তিনি বলেন এদিনও বিচার পতি নিজের জায়গা ছেড়ে নিচে এসে মামলার শুনানি করেন। অভিযোগ কারিদের পক্ষের আইনজীবী সন্দীপ মন্ডল বলেন আদালত সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছে। আদালত এখুনি এই মামলা শেষ করতে চাইছে না। কারণ অভিযুক্তরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেছে। যে প্রজেক্টে কাজ হচ্ছে তা আগামী বছর জানুয়ারী মাসের মধ্যে শেষ করবে বলে কথা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রেও আদালত নির্দেশ দিয়েছে বলেছে কাজ করে এভিডেভিড করে রিপোর্ট জমা দেবার জন্য।