একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সর্বত্রই যুবশক্তিকে প্রাধান্য তৃণমূল কংগ্রেসের

একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যুবশক্তিকে প্রাধান্য দিতে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পরামর্শদাতা পিকের তত্ত্বাবধানে আই প্যাক এর পক্ষ থেকে রবিবার কোচবিহার সাহিত্যসভা হলঘরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই দিনের অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও অগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন ও জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিক । এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো রাজনীতিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক এই যুবদের অনুপ্রাণিত করা বলে জানিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। জানা গেছে ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোর এর উদ্যোগে প্রচুর যুব সম্প্রদায়ের যুবকরা রাজনীতিতে সরাসরি আসার কথা জানিয়েছেন,এবং অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। গোটা জেলা জুড়ে প্রায় 6000 যুবকরা রাজনীতিতে নামার ইচ্ছা প্রকাশ কোরে এই রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে দাবি পার্থ প্রতিম রায় এর। এই যুবকরা সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করা শুরু করবে তখনই যখন তারা তৃণমূল কংগ্রেসের অংশ হয়ে উঠবেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নীতি-আদর্শ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য কি আছে তাই নিয়ে এদের সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে এদিন এই আলোচনা কর্মশালা হয়। 250 জন আবেদনকারী হাতে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেওয়া হয়।

সত্তরের দশকে বাম শক্তিকে সংগঠিত করার জন্য যুব শক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সময় যুবকরা রাজনীতিতে এসে রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।পরবর্তীতে যুবকরা নিজেদের ক্যারিয়ার এবং পড়াশোনার দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েন, রাজনীতিতে আসার কথা তারা চিন্তা-ভাবনা করেন না।এই কর্মসূচীর মাধ্যমে পুনরায় যুবকদের রাজনীতির প্রতি আকর্ষিত করাই প্রশান্ত কিশোরের সম্পূর্ণ দলের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এক্ষেত্রে যুবশক্তি যদি বর্তমান শাসক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘুরে যান সে ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস অর্থাৎ শাসকদলের ক্ষমতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here