“আমি এখনো তৃণমূলেই আছি। এখনো আমি রাজ্যের কয়েকটি দপ্তরের মন্ত্রী।” গত কয়েক মাস ধরে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্কে যে সমস্ত জল্পনা-কল্পনা চলছিল দেশজুড়ে, আজ রামনগরের আর এস এ ময়দানে এভাবেই যাবতীয় জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটালেন শুভেন্দু অধিকারী নিজেই। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে তার মতানৈক্য নিয়ে যে সমস্ত খবর রটেছে, তা নিয়ে ও এদিন শুভেন্দু বলেন, দলের মধ্যে যেকোনো বিষয় পারস্পরিক মতানৈক্য থাকতেই পারে। তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
সেই সঙ্গে কিছুটা অভিমানের সঙ্গেই আজ শুভেন্দু বলেন, ‘আমি একটা দলের প্রাথমিক সদস্য। আমি একটা মন্ত্রিসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী রেখেছেন। উনিও তাড়াননি, আমিও ছাড়িনি। রাজনৈতিক কথাবার্তা দলের ভিতরে থেকে, মন্ত্রিসভায় থেকে বলা যায় না। আমরা বিদ্যাসাগরের দেশের মানুষ। আমরা এত অনৈতিক কাজ করি না। একদিন-দুদিনের লোক নই তো, বসন্তের কোকিল নই তো আমি। সবার সঙ্গে আত্মিক পরিচয় রয়েছে। আর শুধু ভোট চাই ভোট দাও, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও তো বলি না। লকডাউনে, কোভিডে, আমফানে থাকি। নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়েছি’।
এদিন তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সাল থেকে আমি সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। পয়সার জন্য নয়, নেশায় মানুষের কাজ করি। সমবায়ের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি মানুষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আমি।’ প্রসঙ্গত এদিন
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রামনগর RSA ময়দানে, পূর্ব মেদিনীপুর ২ রেঞ্জ এর সকল ব্যাঙ্ক ও সমবায় সমিতিগুলির যৌথ উদ্যোগে, ৬৭তম নিখিল ভারত সমবায় সপ্তাহ উদযাপন ২০২০-এর বিশাল সমবায় সমাবেশে সমবায় আন্দোলনের নেতা শুভেন্দু অধিকারী একথা বলেন।
তবে আম্ফান এর সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের রাজ্য সরকারের কারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।