পিছোল মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ

কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে গেল মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল। ২০২২ সালে নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই বিশ্বকাপ। তা অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে। পাশাপাশি, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন আনল আইসিসি।কেন মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়া হল সে সম্পর্কে আইসিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে খেলোয়ারদের পক্ষে বিশ্বকাপের জন্য যথেষ্ট ভালোভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ, ২০২২ সালে কমনওয়েলস গেমস সহ তিনটি বড় মাপের স্পোর্টস ইভেন্ট রয়েছে।ভুলে গেলে চলবে না যে ২০২১ সালে মহিলাদের একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ক্রিকেট বিশ্বকাপ হওয়ারও কথা ছিল। সেটি বাতিল করা হয়েছে কোভিড মহামারীর কারণে। সেই বিশ্বকাপ হবে ২০২২ সালে। আবার, গত বুঝবারই ঘোষিত হয়েছে যে ২০২২ সালে বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হবে। চলবে ২৮ জুলাই থেকে ৮ অগস্ট পর্যন্ত। তার কোয়ালিফিকেশনের জন্যও মহিলা দলগুলিকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

পয়েন্টের নিরিখে নয়, সংগৃহীত পয়েন্টের শতকরা হারে নির্ধারিত হবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিল। সেই অনুয়ায়ী টেবিলের প্রথম দু’টি দল ফাইনাল খেলবে ২০২১-এর জুনে। এমনটাই জানিয়েছে আইসিসি।

কোভিড মহামারীর কারণে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত বেশ কিছু সিরিজ পরিত্যক্ত হয়েছে, তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টুর্নামেন্টের সমস্ত ম্যাচ শেষ করা সম্ভব নয়। বাতিল সিরিজের জন্য পয়েন্ট ভাগ করে দেওয়ার বিকল্প রাস্তা খোলা থাকলেও আইসিসির অন্দরমহলেই এটা সেরা বিকল্প হতে পারে না বলে আওয়াজ উঠতে শুরু করে। কেননা তাতে নিজেদের ভুল না থাকা সত্ত্বেও পয়েন্ট খোয়াতে হতো যোগ্য দলগুলিকে।

 এই অবস্থায় অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটি সংগৃহীত পয়েন্টের শতাংশের নিরিখে দুই ফাইনালিস্ট নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়। আইসিসির চিফ এক্সিকিউটিভস কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব স্বীকৃতি পেয়ে যায়।অর্থাৎ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যতগুলি সিরিজ খেলা হবে, তাতে যে দু’টি দল শতকরা হিসাবে সবথেকে বেশি হারে পয়েন্ট ঘরে তুলবে, তারাই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here