গঙ্গা জলে শুদ্ধিকরণ, রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক অফিসের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস!

গঙ্গা জল দিয়ে ধুয়ে মুছে পুজো দিয়ে চলল ‘শুদ্ধিকরণ’ পর্ব! এভাবেই প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডোমজুড়ের পাকুরিয়ায় বিধায়ক অফিসের আজ দখল নিলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। 

তৃণমূল পরিচালিত হাওড়া জেলা পরিষদের মেন্টর কল্যাণ ঘোষ এপ্রসঙ্গে বলেন, “পাকুরিয়ার ওই অফিসে তৃণমূলের বিধানসভা নির্বাচনী কার্যালয় করা হবে। ডোমজুড়ের তৃণমূল কর্মীরা বেইমান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোহারা হারাবেন।” প্রসঙ্গত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই বিধায়ক অফিস নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। যে বাড়িতে অফিস, তার মালিক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মন্টু সাঁতরা। তাঁর অভিযোগ, তিনি রাজীববাবুকে ওই বাড়িটির নীচের তলাটি ভাড়া দিয়েছিলেন। সেখানেই রাজীববাবু এলাকার বিধায়ক এবং মন্ত্রী হিসাবে অফিস তৈরি করেছিলেন। ওখানে বসেই তিনি জনসংযোগের কাজ করতেন। কিন্তু মাত্র তিন মাস বাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু তারপর গত ১০ বছর তিনি আর কোনও ভাড়া দেননি। প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্টু সাঁতরার আরও অভিযোগ, কল্যাণ ঘোষের সঙ্গে মেলামেশা করার জন্য তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে ছিলেন রাজীব ব্যানার্জি। বাধ্য হয়ে তাঁকে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে হয়েছিল।

যদিও এসব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। অফিসের দখলদারি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। বিজেপির হাওড়া সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহা তোপ দাগেন, তৃণমূল দখলদারির রাজনীতি করছে। এটা আবার প্রমাণ হল। অফিসটি যদি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব হয়, তাহলে তৃণমূল সেটা দখল করে কী করে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। অন্যদিকে, এ ব্যাপারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here