নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ যখনই পশ্চিমবঙ্গে এসেছে তখনই তারা মৌখিকভাবে জানিয়েছে ভোটের সময় সিভিক ও গ্রিন পুলিশদের ভোটের সময় কাজে লাগানো যাবে না। আর এবার সেই মৌখিক বিষয়টিকে নির্দেশিকা আকারে প্রকাশ করা হলো কমিশনের তরফ থেকে।ভোটের কাজে কোনও ভাবেই ডিউটি করতে পারবেন না সিভিক ভলান্টিয়াররা।
সূত্রের খবর,শুধু তাই নয়, কোনও এলাকায় ভোটের তিন দিন আগে থেকে ভোট শেষ হওয়ার এক দিন পর পর্যন্ত কোনও ভাবে উর্দি পরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডিউটি করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাশাপাশি গ্রিন পুলিশ ও স্টুডেন্ট পুলিশদের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ কার্যকর হবে। ইতিমধ্যেই নবান্ন ও লালবাজারে সেই নির্দেশ পৌঁছেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি। বস্তুত, গত কয়েকটি ভোটেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের’ অভিযোগ জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। সরাসরি ভোটের ডিউটি না-দিলেও স্থানীয় মানুষকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার অভিযোগও উঠেছিল। নির্বাচন কমিশনের এ বারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করছেন, বিরোধীদের অভিযোগে কার্যত মান্যতা দিয়েছে কমিশন।
মূলত,বহু ক্ষেত্রেই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে শাসক দলের রাজনৈতিক সংশ্রবের অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বিরোধীদের এই সকল পুলিশদের বিরুদ্ধে একাধিকবার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে। আর সেই সকল অভিযোগের ভিত্তিতে তারা বারংবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।