রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হবার পরেই রয়েছে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের নির্বাচন। আর পৌরনিগম নির্বাচনে শিলিগুড়িতে বিজেপি এককভাবে বোর্ড দখল করবে। বুধবার সকালে
শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে চায় পে চর্চায় যোগ দিতে এসে সদ্য সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা শংকর ঘোষ এমনটাই জানালেন।
এবিষয়ে শংকর বাবু বলেন সিপিএমে দমবন্ধ করা অবস্থায় তার মধ্যে তিনি ছিলেন। বারবার হারা প্রার্থীকে দল পুনরায় টিকিট দিয়েছে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকায়। এছাড়াও নানান বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করেও কোনও লাভ হয়নি দলে। দলের অভ্যন্তরের অচলাবস্থার কারণে তিনি সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন। শঙ্করবাবু আজ বলেন বিজেপি দলের প্রতিটি নেতা এবং কর্মীদের থেকে যে আন্তরিকতা তিনি পেয়েছেন তা অভাবনীয়। বিজেপি দলকে এতদিন বাইরে থেকে দেখেছিলেন এবার বিজেপিতে এসে বুঝেছেন দলের ভেতরে কিভাবে কাজ করতে হয় এবং কিভাবে কথা বলতে হয়। রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দু’শোর বেশি আসনে জয়লাভ করে বাংলার ক্ষমতায় আসবে বলে জানান শংকর বাবু। শংকর বাবু আরও বলেন, সাধারণ মানুষ সিপিএম কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর জোটকে মোটেও মেনে নেবে না। এই জোটের ক্ষমতায় আসা টা অনেকটা অমাবস্যায় চাঁদ দেখার মতন বলে অভিমত ব্যাক্ত করেন শংকর ঘোষ। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের শিলিগুড়ির প্রার্থীর বিষয়ে শংকর বাবু বলেন বহিরাগত প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। সেই কারণে তার জেতা শিলিগুড়ি আসনে অসম্ভব।অপরদিকে শিলিগুড়িতে বামেদের ক্ষমতায় আসা সম্ভব। কারণ বারবার রাজ্য এবং সিপিএমের বিরোধে চিঠি চাপাটির কারণে শিলিগুড়ির উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই শংকর বাবুর অভিমত আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি আসনই কেবল নয় রাজ্যে ২০০টিরও বেশি আসন পাবে বিজেপি। অপরদিকে আসন্ন পৌরনিগম নির্বাচনেও শিলিগুড়িতে বিজেপি একক ভাবে পৌরনিগমের এর বোর্ড দখল করবে।
অপরদিকে শংকর বাবুর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির সদ্য প্রাক্তন বাম বিধায়ক তথা শিলিগুড়ি পুরো নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যের বক্তব্য শংকর বাবু নতুন বিজেপিতে গিয়েছেন ফলে অনেক কথাই শিখেছেন তাই হয়তো বলছেন। তিনি আরো বলেন শিলিগুড়িতে তৃণমূলই কোনদিন ঠিকমত জায়গা বানাতে পারে নি বিজেপির দ্বারা তো সম্ভবই না। বিজেপি কে হারাবে বিজেপি নিজেই।