ফের হুহু করে বাড়ছে করোনা। মহারাষ্ট্র নিয়ে তো মাথা ব্যথা আছেই, এছাড়াও দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ধীরে ধীরে কেসের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দেশব্যাপী যে করোনা টিকাকরণ চলছে, সেই নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা আছে। আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করবেন৷ ফের একবার বিভিন্ন ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করার সম্ভবনা দেখছে ওয়াকিবহাল মহল৷ বেশ কিছু বড় শহরে ইতিমধ্যেই নাইট কার্ফু শুরু হয়েছে৷ ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷আজ দুপুর সাড়ে বারোটার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে মিলিত হবেন৷ এই বৈঠকে টীকাকরণের গতি এবং করোনা সংক্রমণ আটকাতে পদক্ষেপ এই দুটি বিষয় নিয়েই আলোচনার সম্ভবনা রয়েছে৷ পাশাপাশি প্রত্যাশা করা হচ্ছে পরবর্তী পর্যায়ে আরও বেশি মানুষকে টীকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ি মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফার দাপট শুরু হয়েছে৷ এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠিও লিখেছেন৷ রাজ্যের খারাপ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত সপ্তাহে সেখানে কেন্দ্র থেকে দল গিয়েছিল৷ এই দলের থেকে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতেই স্বাস্থ্যসচিব চিঠি লেখেন৷ রাজ্যের অব্যবস্থা ও হঠকারিতাকে দোষ দেওয়া হয়৷ মহারাষ্ট্রে মঙ্গলবার সংক্রমণের নতুন ১৭ হাজারেরও বেশি মামলা সামনে আসে৷ এর ফলে বৃহ্নমুম্বই নগরপালিকা শিক্ষকদের ফের ঘর থেকে কাজ করার নির্দেশ জারি করেছে৷ বিএমসি ১৭ মার্চ অর্থাৎ বুধবার থেকে ৫০ শতাংশ রোটেশানাল অ্যাটেনডেন্স চালু করার নির্দেশ দিয়েছে৷ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লক্ষ পার করে গেছে৷ ৫৩ হাজার মানুষ এই মহামারিতে প্রাণ হারিয়েছেন৷
মহারাষ্ট্রে ছাড়া অন্য রাজ্যে করোনার প্রভাব সামনে এসেছে৷ গুজরাতের আহমেদাবাদ, সুরাত, ভদোদরা, রাজকোটে রাতের কার্ফু আরও ২ ঘণ্টা করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ মধ্যপ্রদেশে ১০ টি শহরে রাত ১০ টার পর দোকান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এরমধ্যে রয়েছে জব্বলপুর, গওয়ালিয়র, উজ্জয়িনী, রতলাম, ছিন্দবাড়া, বুরহানপুর, বৈতুল আর খরগৌন রয়েছে৷ এছাড়া রাজধানী ভোপাল আর ইন্দোরেও নাইট কার্ফু জারি হয়েছে৷