কমিশনে অভিযোগ করা সত্ত্বেও নেই কোনও পদক্ষেপ। আবারও ভোটের দিনেই বঙ্গে প্রচার করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার রাজ্যের তিন জেলার ৩১ আসনে ভোটগ্রহণ। আর ওইদিনই হাওড়া ও কোচবিহারে প্রচারসভা করবেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, তৃতীয় দফার পর ফের চতুর্থ দফার ভোটের দিনও রাজ্যে প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।
১ এপ্রিল রাজ্যে যখন দ্বিতীয় দফার ভোট হচ্ছিল, ওইসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যে প্রচার সভা করেন। তা নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগেস। ভোটের দিনে কী ভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে প্রচার করেন? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসও। আশা করা হয়েছিল কোনও পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সে গুড়ে বালি! ফের ভোটের দিনগুলি বেছেই রাজ্যে ভোটপ্রচারে আসবেন মোদি। মঙ্গলবার যখন দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ হুগলি ও হাওড়ার কিছু বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে। তখন হাওড়ারই ডোমজুড়ে সভা করবেন মোদি। এছাড়া মঙ্গলবার কোচবিহারেও সভা করবেন তিনি।
তৃতীয় দফার পর চতুর্থ দফা ভোটের দিনও রাজ্যে প্রচারে আসবেন তিনি। আগামী ১০ এপ্রিল মুকুল রায়ের সমর্থনে কৃষ্ণনগরে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বিজেপি-র প্রার্থী তালিকায় এবার অন্যতম বড় চমক ছিলেন মুকুল রায়৷ কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে তাঁর মূল প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়৷ দীর্ঘ প্রায় দু’ দশক পর কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি নেতা৷ তৃণমূলে থাকাকালীন তো বটেই, বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরও মূলত সাংগঠনিক দায়িত্বও ছিল মুকুলের কাঁধে৷ কিন্তু এবার নির্বাচনে তাঁকেই প্রার্থী করেছে দল৷ শুভেন্দু, রাজীবের পাশাপাশি মুকুলের জয় নিশ্চিত করা বিজেপি নেতৃত্বের কাছেও সম্মানের লড়াই৷ সেই লক্ষ্যেই প্রচারে আসছেন নরেন্দ্র মোদি।