শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা!

শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কমিশনের। আগামী ১৭ তারিখ অর্থাৎ পঞ্চম দফা নির্বাচনের দিনই পুনরায় ভোট হতে পারে ওই বুথে। শনিবার ঘটনার পর ৭২ ঘন্টার জন্যে কোনও রাজনৈতিক নেতা কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করে।

গুলি চালানোর পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই বুথের ভোট গ্রহণ। শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কমিশনের। আগামী ১৭ তারিখ অর্থাৎ পঞ্চম দফা নির্বাচনের দিনই পুনরায় ভোট হতে পারে ওই বুথে। চতুর্থ দফার ভোটে এই বুথের বাইরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন চারজন সাধারণ মানুষ। সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তাঁর ডায়েরির রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ওই বুথে ১০ এপ্রিল ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারেনি। আর সেই কারনেই নতুন করে সেখানে ভোট হবে।স্পর্শকাতর বুথ। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গত বারের তুলনায় বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এমনটাই জানা গিয়েছে। বুথের মধ্যে তো থাকবেই, বুথের বাইরেও বাহিনী থাকবে। এছাড়াও কমিশনের আধিকারিকরাও ভোট গ্রহণ চলাকালীন উপস্থিত থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।

শীতলকুচির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চলছেই। ঘটনার কয়েকদিন কেটে গেলেও অভিযোগ, পালটা অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এমনকি, বাহিনীর গুলিচালনা নিয়ে তরজা অব্যাহত। ঠিক কীসের পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন গুলি চলেছিল, তা নিয়ে নানা ব্যাখ্যা চলছে। ১২৬নং বুথের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে দেখছে কমিশন। সঠিক ঘটনা এখনও অজ্ঞাত। তারই মধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসল রাজ্য বিজেপির একাংশ। মঙ্গলবার বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ, সেদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা যে ভিডিও রেকর্ড করেছিল, তা রাতে গিয়ে পুলিশ মুছে দিয়েছে। এতে ইন্ধন ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংয়ের। আসল ঘটনা আড়াল করার জন্য তাঁর নির্দেশেই এসব কাজ হয়েছে। অন্যদিকে, সূত্রের খবর গুলি চালানোর ঘটনায় পৃথক তদন্ত করতে পারে সিআইএফএফ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here