গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ডাবগ্রাম 2 নং পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মধ্য শান্তিনগরের বিনয় মোড় এলাকায় চললো রীতিমত নাটক। এলাকার জনৈক ব্যক্তি জয় কর বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। তবে গতকাল রাতে জয়ের প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, স্বভাবতই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে গেলে, তিনি দ্রুত কোভিড চিকিৎসার জন্য ভর্তির কথা বলেন।
এরপর পরিবার টিম কাবেরির মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এর শরণাপন্ন হন। সংগঠনের মহিলারা রোগীকে নিয়ে মেডিকেলে পৌঁছয়। ডাক্তার এসে দেখতেই রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শ্বাসকষ্ট হয়েই যুবক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান ডাক্তার।
রাত ১ টা নাগাদ ঘটনার বিষয়টি মুক্তধারা ফাউন্ডেশন পরিবারকে জানালে, পরিবারের পক্ষ থেকে সৎকার করবার জন্য নিজেরাই দায়িত্ব নেন ও পরদিন সকালের কথা জানান। রাত ১টা থেকে মৃতদেহ বাড়ি সংলগ্ন বাজারের সামনে গাড়িতেই থেকে যায়।
এরপর আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বাজারে গিয়ে একটি গাড়িতে যুবকের মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। তার ভিতরে চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে একটি দেহ। খোজখবর নিতেই তারা জানতে পারেন জ্বরে আক্রান্ত যুবকের শ্বাসকষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা। তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। খবর যায় স্বাস্থ্য দপ্তরে। মুহুর্তের মধ্যে শুনশান হয়ে যায় বিস্তির্ন বাজার। বন্ধ হয়ে যায় অধিকাংশ দোকানপাট।ঘটনা ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
এরপর শুরু হল নাটকীয় মোড়। সৎকারের কথা আত্মীয়রা বললেও পরবর্তীতে পিছপা হাটে সদস্যরা। দীর্ঘ সময় সৎকার করার গাড়িতেই মৃতদেহ পরে থাকায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীদের মনে। ঘটনার খবর দেওয়া হয় প্রশাসনকে।
এরপর মৃতদেহ সৎকার করতে এগিয়ে আসে পুনরায় সেই শিলিগুড়ির সাহসী মহিলারা। এমনি ঘটনার সাক্ষী থাকলো শহর শিলিগুড়িবাসি। মৃতদেহ সৎকারের সমস্ত দায়ভার তুলে নেয় টিম কাবেরির মুক্তধারা ফাউন্ডেশন। নিজেদের খরচায় মৃতদেহ সৎকারের দায়ভার তুলে নেয় নিজেদের কাধে। নিথর দেহ নিয়ে আসা হয় কিরণ চন্দ্র শ্মশান ঘাটে।