বাংলা জয় হলেও মমতার জয় হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও ৬মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে। সেই পথ প্রশস্ত করতেই ভবানীপুর কেন্দ্র তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা। এই কেন্দ্রে নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আজই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন। তারপরেই এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হবেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।
মূলত, একুশের ভোটে আসন বদলে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের পরিবর্তে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই পিকের পরামর্শে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। বারবার জয়ের দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে। গণনায় কারচুপির অভিযোগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন।ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে অনায়াসেইএই কেন্দ্রে হারিয়েছিলেন শোভন। তারপরে জানা গিয়েছে আজ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। শোভন দেবের এই ইস্তফার মধ্যে নতুন সমীকরণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নন্দীগ্রামে হেরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইন অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে বাংলার কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। তাই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন তার জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই বারবর জিতে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই কেন্দ্রেরই ভোটার তিনি। তাই আবারও এই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হতে জিতে আসতে চান। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।