লকডাউনের মধ্যে ওষুধ কিনতে বেরিয়ে জুটল কেবল পুলিশের মারধর।জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন লকডাউনের মাঝে হাতে ছিল কাগজপত্র। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তিকে লকডাউনে বাড়ি থেকে বেরোনোয় চড় মারেন জেলা আধিকারিক এছাড়াও পুলিশকর্মীদের লাঠির বাড়ি মারতে নির্দেশ দেওয়ার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের সুরজপুরে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, জেলাশাসক ওই যুবকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। সেই কাগজগুলি দেখানোর মাঝেই তিনি যুবকের ফোনও দেখতে চান। কিন্তু ফোনটি হাতে নিয়েই তা আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন এবং যুবককে চড় মারেন। গোটা ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যায় ওই যুবক। এরইমধ্যে রাস্তার ওপার থেকে পুলিশ ও জেলা শাসকের নিরাপত্তারক্ষীরাও হাজির হয়। ভিডিয়ো বানাচ্ছে, এই অভিযোগ করে ওই যুবককে মারার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত গতিতে বাইক চালানোয় দাঁড় করাতে বলা সত্ত্বেও না দাঁড়ানোয় তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ওই যুবক জানান, তিনি ওষুধের দোকানে যাচ্ছিলেন। সেইসময় জেলাশাসক মাঝপথে আটকে তাঁর গন্তব্য জানতে চান। কিন্তু জবাব দিতেই তিনি নিজেও মারতে শুরু করেন ও বাকিদেরও মারার নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, জেলাশাসক জানান, কাউকে অপমান বা ছোট করার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর।লকডাউনের মধ্যেও রাস্তায় বের হওয়ায় চড় মেরেছিলাম। সেই জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভিডিয়োয় দেখতে পাওয়া ওই যুবক যে নাবালক নয়, তাও জানান তিনি।