রাজ্যজুড়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মধ্যবিত্তের গাড়িতে এবার তেলের টান ধরিয়েছে পেট্রোল। নিত্যদিনের কাজে ব্যবহৃত সাধের গাড়িটি নিয়ে তারা কিভাবে চলাচল করবে, কিভাবে জোগাড় করবে পেট্রোলের খরচ তা ভাবতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্ত থেকে সকলেরই।
একেতে লকডাউন তারওপর অগ্নিমূল্য বাজার পাশাপাশি জ্বালানি থেকে পেট্রোলের দাম দেখে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। গত দু’ মাসে প্রায় ৩৪ বার পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে৷ পেট্রোল পাম্পের ডিলাররা অবশ্য বলছেন, এতে তাঁদের মুনাফা কিছু বাড়েনি৷ এবিষয়ে এক পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ডিলারদের মুনাফা কিন্তু বাড়ছে না৷ তবুও পেট্রোলের দামের কোনো ঘাটতি হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ মাসে তেলের উপরে শুল্ক বাড়ায় কেন্দ্র৷ রাজ্যগুলিও নিজেদের প্রয়োজন মতো পেট্রোল- ডিজেলের উপরে ভ্যাট বসায়৷ গোটা দেশের মধ্যে রাজস্থানে পেট্রোল- ডিজেলের উপরে ভ্যাট সর্বাধিক৷ এর পরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশ্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে পেট্রোপণ্যের উপরে লিটার পিছু এক টাকা করে সেস কমিয়েছিল৷ তবে দীর্ঘদিন ধরেই পেট্রোল- ডিজেলের উপরেও জিএসটি বসানোর দাবি উঠেছে৷ সেক্ষেত্রে গোটা দেশেই পেট্রোল- ডিজেলের উপরে অভিন্ন হারে কর চাপবে৷ কিন্তু সেই দাবিতে সাড়া দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার৷ এ বিষয়ে রাজ্যগুলিও চুপ৷ কারণ একবার পেট্রোল, ডিজেলকেও জিএসটি-র আওতায় নিয়ে এলে জ্বালানি বিক্রি থেকে কেন্দ্র- রাজ্য দু’ পক্ষেরই আয় অনেকটা কমে যাবে৷
এদিন ডাক্তার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মজয়ন্তীতে উপস্থিত দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্তার কাছে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, পেট্রোলের এই মারাত্মক মূল্যস্ফীতির বিরোধিতা তিনিও করেন তবে সম্পূর্ণ ইমপোর্ট করার জন্যই পেট্রোলের এই মূল্যবৃদ্ধি বলে দাবি করেন তিনি। এরপাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ট্যাক্সের মাধ্যমে প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে পেট্রোল- ডিজেলের দাম কমানোর আবেদন জানান তিনি। তবে এই সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে সেই দিকেই তাকিয়ে এখন সাধারণ মানুষ।