অবশেষে স্ত্রী বিয়োগ ঘটলো মুকুল রায়ের, চেন্নাই-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কৃষ্ণা দেবী

লড়াই অবশেষে থামল। প্রয়াত হলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। করোনা পরবর্তী ফুসফুসের সমস্যার কারণে সংকটজনক অবস্থায় ছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য তাঁকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। অসম লড়াইটা শেষমেষ থামল। আজ সকাল সাড়ে চারটের সময়  চেন্নাইয়ের ওই বেসরকারি হাসপাতালেই  মৃত্যু হয় তাঁর। শেষ সময়েও মায়ের পাশেই ছিলেন পুত্র শুভ্রাংশু রায়।

 

এদিন নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার শোকবার্তা প্রকাশ করেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বিধায়ক মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। কৃষ্ণা দেবী বিভিন্ন জনহিতকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমি তাঁকে ঘনিষ্ঠ ভাবে চিনতাম। তিনি মানুষের ভাল চাইতেন।’ বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কৃষ্ণা। করোনা পরবর্তী জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।কলকাতা থেকে সম্প্রতিই চেন্নাইয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতালেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। শেষ সময়ে কৃষ্ণার পাশে ছিলেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়।

 

মায়ের মরদেহ নিয়ে কলকাতায় ফিরবেন শুভ্রাংশুই। বুধবার তাঁর শহরে ফেরার কথা। মুকুল অবশ্য কলকাতাতেই আছেন। তিনি চেন্নাইয়ে যাচ্ছেন না।কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন কৃষ্ণার অসুস্থতার খবর নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তার আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যান হাসপাতালে। কৃষ্ণার খবর নিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বিধায়ক মুকুলের স্ত্রী-র অসুস্থতা ও তাঁর খোঁজ খবর নেওয়া নিয়ে বাংলার রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছিল দিন কয়েক আগেও। তবে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে টুইট করে বা প্রকাশ্যে কোনও শোক বার্তা দিতে দেখা যায়নি। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য চেন্নাইয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কৃষ্ণাকে। তবে তার আগেই মঙ্গলবার ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here