১৯৯৯ সালে শেষবার দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত সীমানা পুনর্বিন্যাসের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পাহাড়ের সবক’টি রাজনৈতিক দল।
এদিকে,ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক জিটিএ নির্বাচনের সময়, তাঁরা দার্জিলিং পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি করেছিলেন। পরে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি আরও জানান,ধীরে ধীরে দার্জিলিংয়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি শেষ হয়ে অবস্থা সঠিক দিকে যাচ্ছে। এছাড়াও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এবিষয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানান,তাঁর দল দীর্ঘদিন ধরে দার্জিলিং পাহাড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে, এমনকি ২০১১ সালের জিটিএ চুক্তিতে তিনি দার্জিলিং পাহাড়ের জন্য একটি ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দাবি করেছিলেন এবং এটি জিটিএ আইনেও উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু পাহাড়ি জনগণ গত ২২ বছর ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাই দার্জিলিং পাহাড়ে প্রস্তাবিত দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।
অন্যদিকে,তৃণমূল কংগ্রেসও রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। পাহাড়ে তৃণমূলের নেতা সন্তোষ মোক্তান জানিয়েছেন,তৃণমূল জনস্বার্থে কাজ করে তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার পাহাড়ি জনগণকে পঞ্চায়েতি অধিকার প্রদান করেছে, যা গত ২২ বছর থেকে দার্জিলিং পাহাড়ে ছিল না।