জলখাবার দিতে দেরি করেছিলেন বৌমা, তাতেই রেগে আগুন হয়ে গেল শ্বশুর। রাগের চোটে বৌমাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারল সে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজের ছেলের বউকে শ্লীলতাহানির করার অভিযোগও উঠেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহোনি এলাকার বর্মনপাড়ায়।
শনিবারের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নিজের শ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন কণিকা দাস। কণিকার অভিযোগ, এদিন সকালে ভাত চায় তাঁর শ্বশুর মহেশ দাস। কিন্তু তখনও উনুনে রান্না হচ্ছে। ফলে ভাত দিতে দেরি হয়। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শাশুড়িও।
বাড়ির বউয়ের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় শ্বশুর-শাশুড়ির। কণিকার অভিযোগ, তাঁকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে দু’জনে। প্রতিবাদ করায় মারধর শুরু করে মহেশ। এরপর পাশের ঘর থেকে একটা ধারালো অস্ত্র এনে কণিকার পিঠে কোপ মারে মহেশ।
তৎক্ষণাৎ প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় কণিকাকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই তাঁর চিকিত্সা হয়। তার পর থানায় শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে অভিযোগ জানান কণিকা। তাঁর অভিযোগ, যখন বচসা বাঁধে তখন মহেশ তাঁর গায়ে হাত দিয়ে পোশাক ছিঁড়ে দেয়। তাতেই চিত্কার করায় গলা লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারতে যায়। ভাগ্য ভাল থাকায়, সেই কোপ পিঠে লাগে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মহেশ। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।