মালদাতে ছোট গ্রাম।কিন্তু সেই গ্রামের ভোল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বয়স পঁয়ত্রিশের যুবক।কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যে যাওয়া বেকার যুবকদের ফিরিয়ে এনে গ্রামে থেকেই রোজগারের পথ দেখাচ্ছেন তিনি।এক সময় নিজে মুম্বইয়ে এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ করতেন।পরিবার ছেড়ে থাকার যন্ত্রণাটা যে কী,ভালোই বোঝেন তিনি। ৩০ বছর কাজ করার পর এবার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তুললেন এমব্রয়ডারি কারখানা।এই কারখানার দৌলতে ঘরের ছেলেদের ঘরে ফেরাচ্ছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার হোসেনপুর গ্রামের মনসুর শেখ।এক বিঘা জমির উপরে এমব্রয়ডারি কারখানা গড়ে তুলেছেন পার্শ্ববর্তী গিদরমারি গ্রামে।
মনসুরের ডাকে ইতিমধ্যে ভিনরাজ্যের কাজ ছেড়ে প্রায় ৫০ জন যুবক মনসুরের কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন। সেখানে মেয়েদের ট্র্যাডিশনাল পোশাকের উপরে এমব্রয়ডারি ডিজাইন তোলা হয়জাপান,কানাডা,তুর্কি,আমেরিকার মতো দেশে এই পোশাক যাবে। সোমবার কারখানাটির উদ্ভোধন করেন মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য মর্জিনা খাতুন।
মূলত, মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লকের হাজার হাজার মানুষ ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন,গ্রামে তেমন কাজ নেই।বয়স আঠারো হতে না হতেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন ব্লকের তরুণরা। এলাকার শ্রমিকদের এবং ভিনরাজ্যে থাকা পরিযায়ীদের রাজ্যেই কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মনসুর এই কারখানা চালু করেছেন। এখানে বাংলা বিহারের হাজার হাজার মানুষ কাজ করার সুযোগ পাবেন।শুধু পুরুষরা নয়,মহিলারাও কাজ করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন বলে জানান তিনি। এদিকে মনসুরের এই উদ্যোগে তাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে মালদা জেলার প্রত্যেক গ্রামবাসী শুরু করে সকলেই।