শিলিগুড়ি : গত আড়াই মাস ধরে রাজ্য তথা দেশজুড়ে চলছিল লোকসভা নির্বাচন। আর লোকসভা নির্বাচনকে সুস্থ ভাবে সম্পন্ন করতে আগে থেকেই একাধিক স্কুল, কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং সেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে।
ঠিক তেমনি নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার আগ থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় শিলিগুড়ি কলেজ। বানানো হয় ডিসিআরসি সেন্টার। ৪ বিধানসভার ব্যালেট বাক্স সহ নির্বাচনের একাধিক যাবতীয় জিনিসপত্র রাখা হয় শিলিগুড়ি কলেজে। গত ৪ জুন ভোট গণনানোও হয় সেখানেই। তারপর নির্দেশিকা অনুসারে গত ১০জুন খোলা হয় কলেজ। কিন্তু কলেজ খুলতেই চোখ কপালে উঠে কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে কলেজের অভিবাভকদের। কেননা কলেজের কোথাও পরে রয়েছে মদের বোতল, তো কোথাও আবার পরে রয়েছে পচা গন্ধযুক্ত খাবার। এককথায় বলতে গেলে অপরিষ্কার সম্পূর্ণ কলেজ। অপরদিকে আবার পঠনপাঠনেও সমস্যা দেখা মেলে। কোথাও কোনো কোনো ক্লাসে দেখা নেই বেঞ্চের, তো কোথাও আবার রয়েছে ক্লাসের বোর্ড ভাঙা। কলেজ ক্যাম্পাসেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। মাঠে জন্মেছে আগাছা। যার ফলে বন্ধ কলেজের পঠনপাঠন থেকে শুরু করে ফিজিক্যাল এডুকেশন ক্লাস। নির্দেশিকা অনুযায়ী ১০ জুন কলেজ খোলা হলেও ৩দিন কেটে যাওয়ার পরও কেন ছন্দে ফেরে নি কলেজ সেই বিষয় নিয়েই বৃহস্পতিবার কলেজের প্রিন্সিপাল অফিসের সামনে বিক্ষোভে সরব হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এদিন একাধিক দাবিতে শিলিগুড়ি কলেজের প্রিন্সিপালকে স্বারকলিপিও প্রদান করা হয়।
এদিকে এই বিষয়ে প্রিন্সিপাল জানান ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন সহ জেলাশাসক ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে তাদের তরফে কোনো সদ্দুত্তর মেলে নি এখনো। অন্যদিকে কলেজ অনলাইন ক্লাস এবং পঠনপাঠনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। এককথায় সেই বিষয়েও কোনো সদুত্তর নেই তার কাছে। এখন দেখার বিষয় কবে ছন্দে ফেরে শিলিগুড়ি কলেজ। সামনেই পরীক্ষা তার আগে শহরের নামি কলেজের এমন পরিস্থিতি হলে প্রশ্নের মুখে লক্ষ্য লক্ষ্য ওই কলেজের পড়ুয়াদের ভবিষৎ।