সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিং। আর তারপর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ময়দানে নামতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সামনে একুশে বিধানসভা নির্বাচন তার আগেই বিরোধী পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।চিটফান্ড মামলায় টানা তোপ দেগে চলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। চিটফান্ড তদন্তে দীর্ঘ দিন কারাবাসে ছিলেন কুণাল। বিজেপি নেতা মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছেন তৃণমূলের মুখপাত্র। এবার বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ চিটফান্ডকাণ্ডে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পাল্টা দাবি তুললেন। একইসঙ্গে তিনি খাদ্যমন্ত্রীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
চিটফান্ড নিয়ে বাক-বিতন্ডা শুরু হলেই বোঝা যায় এরাজ্যে নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়েছে। এবার চিটফান্ড নিয়ে আক্রমনের ঝাঁঝ তৃণমূলের তরফ থেকে একটু বেশিই রয়েছে। মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যাঁর লেজ কেটে যায় সে চায় সবার লেজ কেটে যাক। কী করবে না করবে, কাকে গ্রেফতার করবে, তাহলে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করা করতে হবে। তিনি তো চিটফান্ড সংস্থাগুলোর বিমান ব্যবহার করেছেন। অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করেছেন। এই দাবিটা উনি করুন। বাকি তো যা করার ইডি বা সিবিআই করবে”।
এদিকে বিজেপির ৭ সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতার ওই দাবিকে উড়িয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপের চ্যালেঞ্জ, পারলে একজন বুথ সভাপতিকে তৃণমূলে নিয়ে দেখাক। দিলীপ ঘোষ বলেন, “আগে তো মদনবাবু বলতেন, উনিও এখন বলছেন। সেজন্য সন্দেহ হচ্ছে ঠিকঠাক আছে কীনা সমস্ত ব্যাপার। আমার একটা বুথ সভাপতিকে নিয়ে যাক, দেখব। একটা পার্টি থেকে মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ চলে যাচ্ছে। এরকম স্বপ্ন দেখলে হবে? পাবলিক জানে কে কোথায় যাচ্ছে।”