একবার করোনা ভ্যাকসিন নিলে আপনি আট থেকে দশ মাস পর্যন্ত সংক্রমণ মুক্ত থাকবেন। এমনটাই জানালেন এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। যেভাবে করোনা সংক্রমণ আবার বেগ পাচ্ছে, তা রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাগপুরের লকডাউনের প্রেক্ষিতে ইন্দোর, ভোপাল, সুরাত, রাজকোট, আহমেদাবাদ এবং ভাদোদরায় আবার নৈশ কারফিউ জারি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপই জানান দেয়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কতটা বিপজ্জনক। শুধুমাত্র গতকালই দেশজুড়ে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
দিন কয়েক আগে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, তারা মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩০ লক্ষ করোনা ডোজ দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। সেই দিনই আবার সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি রিপোর্টের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আসে। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই মাস কেটে গিয়েছে, যা কোনও মহাযজ্ঞের থেকে কম ছিল না। এখনও পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়েছে। লক্ষ্য ছিল, প্রথম দফায় ৫০ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হবে কিন্তু এই লক্ষ্যের কেবলমাত্র ৭ শতাংশই এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি বলেছে যে বর্তমান গতিতে চললে গোটা দেশবাসীকে টিকা দিতে সাত বছর সময় লেগে যাবে।বৈজ্ঞানিকরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন যে, টিকাকরণে দেরি হলে ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের উদ্ভব হবে।
ইতিমধ্যেই যেভাবে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাত, কর্ণাটক এবং হরিয়ানায় যেভাবে নতুন সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে, তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার প্রতি জনসচেতনতা অবশ্যই বাড়াতে হবে।