ভোটের প্রচারে অনবরত প্রধানমন্ত্রীকে ‘কুরুচিকর’ আক্রমণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে নালিশ কমিশনে নালিশ জানাল বঙ্গ বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ভোটের আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তৃণমূলের একটি দেওয়াল লিখনের ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো হুইলচেয়ারে বসে আছেন। আর তাঁর পায়ের তলায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এল সেই বিতর্কিত দেওয়াল লিখনের কথা। তিনি বললেন, “তৃণমূল কর্মীরা ছবি আঁকছেন যেখানে দিদি হুইলচেয়ারে বসে। তাঁর পা আমার মাথা নিয়ে খেলছে।” ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে তৃণমূল নেত্রীকে মোদির কটাক্ষ,“আপনি চাইলে আমাকে লাথি মারুন। কিন্তু বাংলার বিকাশ, গরিব-আদিবাসী ভাই বোনেদের স্বপ্নকে লাথি মারতে দেব না। উন্নয়নকে লাথি মারতে দেব না।” বিভিন্ন জনসভা থেকে বিজেপির প্রধানমন্ত্রীকে নানা ভাষায় কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। এমনকী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখতে চান না বলেও জানিয়েছেন। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই বিবৃতিকেই হাতিয়ার করলেন মোদি। বললেন, “ওঁর তো আমার চেহারাও পছন্দ নয়। আমি তো মাস্ক পরে আসি। কিন্তু গণতন্ত্রে তো চেহারা দেখে কিছু হয় না।”
উল্লেখ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শুরুতেই নিজস্ব ভঙ্গিতে প্রত্যয়ী মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এই দেশে এখন দুটো নেতা। একটা নেতা হচ্ছে হোঁদল কুতকুত। আমি জানি না এর ইংরেজি কী, হিন্দি কী। একেবারে বাংলা ক্লাসিকাল শব্দ। আর একটা নেতা হচ্ছে কিম্ভূত কিমাকার। এসবের ইংরেজি করে নেবেন।’ নাম না করে এভাবেই নরেন্দ্র মোদী– অমিত শাহকে বেঁধেন তিনি৷ এই মন্তব্যের পরই মাঠে নেমে পড়ে বিজেপি। তাঁদের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের কো–ইনচার্জ অমিত মালব্য বিষয়টি হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে অনিবার্য গেরুয়া হাওয়া অনুভূত হচ্ছে। যা পিসি সহ্য করতে পারছেন না। তাই এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করছেন। যা বাংলার সংস্কৃতি নয়। পিসি আসলে হেরে গিয়েছে। তাই শারীরিক গঠন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন।’
এদিকে ভোটের প্রচারে মমতাকে খোঁচা দিয়ে একাধিক প্যারোডি তৈরি করেছে বিরোধী দলগুলি। সেখানে থাকা ‘পিসি-ভাইপো’ শব্দ নিয়ে আপত্তি রয়েছে তৃণমূলের। সেই কারণে কমিশনে নালিশ জানাল তারা৷