শুভেন্দু-শিশির-সৌমেন্দু হাজির থাকলেও অধিকারী পরিবারের সেজ ছেলেকে নিয়ে জল্পনা রয়েই গেল। তিনি জল্পনা জিইয়ে রেখেই গরহাজির থাকতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে কোনও নাটকের অবতারণা শেষপর্যন্ত হয় কি না, তাই দেখার। শিশির অধিকারী বিজেপিমুখী হওয়ার পর মোদীর সভায় দিব্যেন্দু যেতে পারেন বলে মনে করা হয়েছিল।
দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু তিনি এখনও দোলাচলে। নরেন্দ্র মোদী কাঁথির সভায় উপস্থিত হওয়ার পরও দিব্যেন্দুকে দেখা যায়নি মঞ্চে। তাঁর স্ত্রী থাকছেন সভায়। মঞ্চে থাকছেন শিশির অধিকারী আর তাঁর দুই পুত্র। একজনই শুধু থাকছেন দূরে। তিনি কবে এসে বিজেপিকে এগিয়ে দেন তারই অপেক্ষা। তৃণমূলের সঙ্গে অধিকারী।পরিবারের সম্পর্ক টিকে থাকার একমাত্র সুতো হলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। সেই সুতো কেটে গেলই ২৬ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। একটা সুতোর উপরই তৃণমূল ও বিজেপি সমান সমান হয়ে আছে লোকসভার অঙ্কে। শিশির অধিকারী বিজেপিতে গিয়ে সমান সমান হয়ে গিয়েছে সাংসদ সংখ্যা। ভোটের আগে বিজেপিকে এগিয়ে দিতে পারেন দিব্যেন্দুই।
দিব্যেন্দু এদিন জিইয়ে রেখে দিলেন সম্ভাবনা। তিনি মোদীর সভায় যাবেন কি যাবেন না কিছুই খোলাখুলি জানালে না। তিনি সবকিছুই সময়ের উপর ছেড়ে দিলেন দিব্যেন্দু। বললেন দেখুন না কী হয়, তাড়াহুড়ো কীসের। এদিন অধিকারী পরিবারের অদূরেই সভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তবুও অধিকারী পরিবারের শেষ খুঁটিটা তৃণমূলেরই রয়ে গেল।