নদিয়ার ধুবুলিয়ার হোটেল থেকে যৌনাঙ্গ, গলার নলি ও পেট কাটা অবস্থায় উদ্ধার হল যুবকের দেহ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সৌরভ কীর্তনিয়া। বয়স ২২ বছর সম্প্রতি তাঁর মোবাইল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ২৪ মার্চ সকালে মোবাইল সারানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বেরন সৌরভ। এরপর দীর্ঘক্ষণ কেটে যায়। পরিবার সূত্রে খবর, বেলা ৩ টে নাগাদ একটি অচেনা নম্বর থেকে তাঁদের কাছে ফোন যায়। জানানো হয় সৌরভকে অপহরণ করা হয়েছে। ছেলেকে ফিরে পেতে ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে মুক্তিপণ। এত টাকা কীভাবে জোগাড় হবে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সৌরভের পরিবারের। এরপরই তেহট্ট থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা।
মৃতের পরিবারের দাবি, অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ জানিয়েছিল তাঁরা তল্লাশি শুরু করেছে।পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে কিছু জানাতে বারণ করেছিল। পুলিশকর্মীরা বলেছিলেন, অপহরণের বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষতি হতে পারে সৌরভের।২৪ তারিখের পর একাধিকবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সৌরভের পরিবার।
অভিযোগ, পুলিশ বারবার জানিয়েছেন তাঁরা অপহরণকারীদের লোকেশন পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে যাননি তাঁরা। পরে শনিবার ভোর রাতে নদিয়ার ধুবুলিয়া এলাকার একটি বেসরকারি হোটেলে মেলে সুশান্তের ক্ষতবিক্ষত দেহ। জানা গিয়েছে, সৌরভের যৌনাঙ্গ, পেট ও গলার নলি কেটে দিয়েছে আততায়ীরা। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? স্রেফ মুক্তিপণের জন্যই কি সৌরভকে অপহরণ করেছিল অভিযুক্তরা? নাকি পুরনো শত্রুতার জেরে এই হত্যা তা জানার চেষ্টায় পুলিশ।