বিশ্বের বহু দেশেই ফের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। জার্মানি, ফ্রান্সসহ অনেক দেশ ইতিমধ্যে করোনার উপদ্রব রুখতে লকডাউনের পথে হাঁটছে। তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হয়তো সব থেকে খারাপ অবস্থা হবে আফ্রিকার দেশগুলির। সেখানে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য সংগঠনগুলি। যেভাবে রোজ করোনা রোগীর সংখ্যা সেখানে বাড়ছে তাতে স্থানীয় প্রশাসনকে অসহায় দেখাচ্ছে। আফ্রিকার একাধিক দেশের স্বাস্থ্য সংগঠনগুলির অধিকর্তা শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে ভারতের কাছে কাতর আর্জি জানিয়েছে।
এবিষয়ে তারা জানিয়েছে, ভারত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন রফতানিতে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ তুলে না নিলে আফ্রিকায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে যে কোনও সময়। সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ভ্যাকসিন-এর চাহিদা সারা বিশ্বে তুঙ্গে। তবে স্থানীয় স্তরে চাহিদা পূরণের জন্য আপাতত এই ভ্যাকসিন অন্য দেশে পাঠানোর ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ভারত সরকার। যার ফলে বিশ্বের অনেক দেশ সমস্যায় পড়েছে। করোনা রোধে এই ভ্যাকসিন কার্যকর বলে প্রমাণিত। ফলে সেইসব দেশ ভারতের ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে রয়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলির অবস্থা সব থেকে উদ্বেগজনক। আফ্রিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেশন জানিয়েছে, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে তারা ৩০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ভারত সরকার টিকা পাঠানোর স্থগিতাদেশ জারি করায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে না। ফলে বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
আফ্রিকার দেশগুলিতে এখনও পর্যন্ত ৪ লাখ করোনা আক্রান্ত মানুষের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। অনেকেই উপসর্গহীন বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রায় এক লাখ ১২ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। আফ্রিকায় ২০২২ সাল পর্যন্ত টিকাকরণের পরিকল্পনা করেছে সেখানকার প্রশাসন। তবে ভারত সরকার আগামী তিন মাসের মধ্যে টিকা না পাঠালে আফ্রিকায় কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।