ভয়াবহতা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের পাতায় ছবি দেখে কেঁপে উঠছে বুক। দ্বিতীয় ঢেউয়ে আরও অনেক বেশি শক্তিশালী করোনা, আরও অনেক বেশি মারাত্মক। বিগত সব রেকর্ড ভেঙে এখন প্রত্যেকদিন দেশে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন ২ লাখেরও বেশি মানুষ। হাসপাতালে বেড নেই, চিকিৎসক নেই, অক্সিজেনের অভাব, ভেন্টিলেটরের অভাব…বিনা চিকিৎসায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। চারিদিকে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি।
উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে এমনই একটি ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, করোনায় মৃতের সংখ্যা চেপে দেওয়া হচ্ছে সরকারি রিপোর্টে। রিপোর্টে যা দেখানো হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যাটা তার তুলনায় অনেকটা বেশি। লখনউয়ের একাধিক শ্মশানে দেখা যাচ্ছে ভয়ঙ্কর চিত্র। ২৪ ঘণ্টাই শবদেহ দাহ হচ্ছে সেখানে। গত কয়েকদিনে শ্মশানের আগুন নিভতে দেখা যায়নি। শ্মশানের একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এ বার নীল মেটাল শিট দিয়ে ঘিরে ফেলা হল গোটা শ্মশান চত্বরটাই। যাতে ভিতরের দৃশ্য কোনও ভাবে বাইরে থেকে দেখা না যায়। শুধু তাই নয়, শ্মশানের বাইরে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি নোটিশ। যেখানে লেখা আছে, অনুমতি ছাড়া শ্মশান চত্বরে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ এটি করোনা আক্রান্ত এলাকা।
এই ঘটনার পরেই যোগী সরকারের নিন্দা করে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়ড়া। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে নিন্দনীয় ও সত্য গোপনের চেষ্টা বলে ব্যখ্যা করেছেন তিনি। একটি ট্যুইটে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে একটি অনুরোধ রইল, এই পরিস্থিতিকে গোপন করতে সময়, সম্পদ এবং শক্তি ব্যয় করা বৃথা। মহামারী রোধ করতে, জীবন বাঁচাতে এবং সংক্রমণের রুখতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’’
গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে ২০,৫১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও করোনায় আক্রান্ত।গোটা রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র লখনউ শহরেই বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার।