প্রয়াত হলেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার। এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মুম্বইয়ের হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
এদিন অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটারে শোক বার্তায় মোদী লিখেছেন,‘দিলীপ কুমারজি অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁর কাজ বহু প্রজন্মকে বিমোহিত করেছে। তাঁকে একজন সিনেম্যাটিক কিংবদন্তী হিসেবে স্মরণে রাখবে দেশ। তাঁর চলে যাওয়ায় আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। ওঁর পরিবার, পরিজন এবং ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা।’
মমতা টুইটারে লিখেছেন, ‘সিনেমা জগতের বৈগ্রাহিক ব্যক্তিত্ব দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে শোকাহত। তাঁর অভিনয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মর সিনেমা প্রেমীদেরও মনে গেঁথে থাকবে। আমার আন্তরিক সমবেদনা সায়রা বানুকে।’ প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই দিলীপের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে টুইটারে জানিয়েছিলেন সায়রা। তাঁর শেষ টুইটে সায়রা লিখেছিলেন,‘‘দিলীপ কুমার সাহেবের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে তিনি এখনও আইসিইউ-তেই আছেন। আমরা তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাই। তবে চিকিৎসক এখনও অনুমতি দেননি। আপনারা ওঁর জন্য প্রার্থনা করুন।’’
এর আগেও গত ৬ জুন হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল দিলীপকে। ফুসফুসে অতিরিক্ত ফ্লুইড জমার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তবে সফল প্লিউরাল অ্যাসপিরেশন প্রক্রিয়ায় তাঁর সেই সমস্যার সমাধান হয়েছিল। ৫ দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে যান দিলীপ। ছয় দশকের অভিনয় জীবন দিলীপের। বলিউডে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘ট্র্যাজেডি কিং’ নামে। ৬৫টিরও বেশি ফিল্মে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত আইকনিক ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দেবদাস’, ‘নয়া দওর’, ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘গঙ্গা যমুনা’,‘ক্রান্তি’ এবং ‘কর্মা’। তাঁকে শেষ পর্দায় দেখা গিয়েছিল ১৯৯৮ সালে ‘কিলা’ ছবিতে।