জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উঠে এলো তিন হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীর কর্তব্যে গাফিলতি অভিযোগ। তদন্তে এমনটাই জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। শুধু তাই নয় ওই তিন জন নিরাপত্তা কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান এদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের এম এস ভি পি কল্যান খাঁ জানিয়েছেন।
এদিকে ওই ঘটনা,চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে, এই অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী অঙ্কুর দাসকে গ্রেপ্তার করে জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থানার পুলিশ। এবিষয়ে জালপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো জানয়িছেন, এই ঘটনা নিয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। তবে ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে অঙ্কুর দাস সহযোগীতা না করার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মূলত, গত ৫ই জানুয়ারি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ক্রান্তির বাসিন্দা মৃত লক্ষ্মীরাণী দেওয়ানের মৃতদেহ তার পুত্র রামপ্রসাদ দেওয়ান ও স্বামী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান কাঁধে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারা রাজ্য। এর পরেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটির আজ তদন্ত সম্পুর্ন করে রিপোর্ট জমা করেছে। এদিন ওই রিপোর্ট নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের এম এস ভি পি কল্যান খাঁ বলেন, কমিটির পক্ষথেকে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে, সকলের সাথে কথা বলে রিপোর্ট জমা করেছে। সেখানে তিন নিরাপত্তা রক্ষীর কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পরেছে। এই তিন নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে সেই দিন রাস্তা থেকে লক্ষ্মী রানী দেওয়ানের মৃতদেহ রাস্তা থেকে বাড়ি নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাসের বিরুদ্ধে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সহ অ্যাম্বুলেন্স পরিসেবা কে কালিমা লিপ্ত করার উদ্দেশ্য নিয়েই ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ তুলে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করে অলবেঙ্গল ন্যাশনাল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস তৃনমূল ড্রাইভার অ্যান্ড অ্যাটেন্টডেন্স ওয়ার্কার ইউনিয়ানের জলপাইগুড়ি শাখা। এর পরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।