ক্লাস ঘরের টেবিলে রাখা অ্যাসিড ভর্তি দুটি বোতল, পাশে রাখা বোমা। স্কুল চলাকালীন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্লাসে ঢুকে তাণ্ডব যুবকের। ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার।
পরনে আকাশি রঙের ফুল স্লিভ শার্ট ও গাড় নীল রঙের টাউজার্স। চোখে রিমলেস চশমা। বন্দুক উঁচিয়ে ক্লাসের মাঝে ধমকে চলেছেন এক যুবক। ভয়ে জবুথবু অবস্থা কচিকাচাদের। যুবক বলে চলেছেন, এক বছর ধরে খোঁজ নেই স্ত্রী পুত্রের। তাঁদের তুলে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বার বার পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া সত্ত্বেও মেলেনি সন্ধান। এবার তাঁর দাবি, তাঁর স্ত্রী পুত্রকে খুঁজে দিতে হবে। মালদহ থানার মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলের ঘটনা।
ততক্ষনে ক্লাসঘরের বাইরে জড়ো হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। যুবকের অন্যমনস্কতার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় কয়েক জন তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে আটক করে স্কুলের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। সেই সময় তাঁর জামাকাপড় হাতড়ে দেখতে গিয়ে আবার চমক। ট্রাউজার্স তুলে দেখা যায় পায়ে একটি চাকুও বাঁধা রয়েছে কোমরে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এখন ওই স্কুলের পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা সবাই নিরাপদে আছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। একবার ফেসবুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। যুবকের কাছ থেকে পাওয়া ব্যাগ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠছে আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেলেন যুবক? স্কুলেই বা প্রবেশ করলেন কী ভাবে? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।