পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত ধর্মগুরুকে বিনা কারণে আটকের অভিযোগ এনে একটি ভিডিও ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জির প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেছেন, “অসম্মানজনক! পশ্চিমবঙ্গের তুষ্টি-চালিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বাংলাদেশের পক্ষপাতদুষ্ট শাসনব্যবস্থার প্রতিফলন ঘটাতে তার প্রশাসনকে কমিয়ে দিয়েছেন?
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত ধর্মগুরু প্রভুপাদ হিরন্ময় গোস্বামী মহারাজ যিনি প্রায় সই বঙ্গের বিভিন্ন জেলা সহ সুদূর বৃন্দাবন পর্যন্ত সনাতনী হিন্দু ধর্ম চর্চায় ব্রতী থাকেন। চলতি মাসের দিনাঙ্ক ২৪ থেকে সপ্তাহব্যাপী এক ভাগবত পাঠের অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন মালদহের রতুয়াতে। সেই রতুয়া থেকে একটি মর্মান্তিক ঘটনায়, পুলিশ প্রশাসনের চাপে নিরলসভাবে হেনস্থা করা হয়। তাকে ‘ভাগবত পাঠ’ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল এবং কোনও যুক্তি ছাড়াই কয়েক ঘন্টা থানায় আটকে রাখা হয়। এই অপমান যোগ করার জন্য, তাকে পরে আবার আটক করে আবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিনের ঘটনার খবর পেয়ে কার্যত থানার ভিতরেই ভাগবত পাঠের শ্রোতা সহ শিষ্য ভক্তরা ঢুকে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে সকলকে কোনক্রমে থানার বাইরে বের করেন পুলিশ প্রশাসনেরা। ধীরে ধীরে ঘটনা ক্রমশ অন্যদিকে জটিলতার দিকে এগোতে থাকে ও মিনিট কয়েকের মধ্যেই থানার বাইরে কয়েক হাজার জমায়েত হয়ে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন। নিকটবর্তী বেশকিছু রাস্তা অবরোধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতির চাপে নতি স্বীকার করে পুলিশ সই সংগ্রহ করে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
মালদহের সাধু সম্প্রদায়ের অভিযোগ যে, “ভগবত পাঠের অনুষ্ঠান স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাহত করেছে। এই ধরনের নির্লজ্জ লক্ষ্যবস্তু আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়কে গভীরভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।” ঘটনার খবর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পৌছলে তিনি বলেন, “আমি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চাই: তাঁর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে ভগবদ্গীতার পবিত্র পাঠকে অবমূল্যায়ন করার এবং শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার জন্য একটি গণনাকৃত ষড়যন্ত্র আছে? এই ঘটনাটি প্রশাসনিক বাড়াবাড়ি এবং তুষ্টির রাজনীতির উদ্রেক করে এবং এটি এই দেশের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য একটি গুরুতর অপমান”। সুকান্ত মজুমদারের এই ট্যুইট ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে।