বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটের উপনির্বাচনে বাধা দেবে নির্বাচন কমিশন এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি যশবন্ত সিনহা।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতে রীতিমতো ততপর হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটে জিতে আসতেই হবে। ফলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে কমিশন ভোট না করলে বিপাকে পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভায় যাওয়া আটকে দিতে ছক কষছে কমিশনের আধিকারিকরা।
বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে যশবন্ত সিনহা বলেন, এই ধরনের গোপন খবর তাঁর কাছে রয়েছে। তিনি সাফ অভিযোগ করেন, একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির হয়ে কাজ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এখন কমিশন প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাইছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে পরাজিত হলেও সবার সম্মতিতে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তবে সেক্ষেত্রে নিয়মমাফিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে। আর এখানেই মমতাকে আটকাতে আগামী কয়েকমাস নির্বাচন কমিশন কোনও ভোটের আয়োজন করবে না।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ তুলে নিজের ট্যুইটারে যশবন্ত সিনহা লিখেছেন, মূলত মমতার বিধানসভায় যাওয়া আটকাতেই এমন ছক কষা হচ্ছে। কেন্দ্রে বাজপেয়ী সরকারের আমলে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা যশবন্ত সিনহার এই দাবি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অনেকে যশবন্ত সিনহার মন্তব্যের যুক্তি মেনে নিয়ে মনে করছেন, একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি আশাতীত ফল না পাওয়ার পর থেকেই প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যেভাবে কেন্দ্র প্রতিনিধি দল পাঠানো থেকে শুরু করে ততপরতা দেখিয়েছে তা যথেষ্ট বার্তাবহ। একইসঙ্গে নারদ মামলায় ফিরহাদ, সুব্রত মদন ও শোভনদের গ্রেফতারির পিছনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।
সেখানে দাঁড়িয়ে এবার নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্র মমতার বিধানসভায় যাওয়া আটকানোর পন্থা নেয় কি না তা নিয়ে যশবন্তের মন্তব্যের পরেই সংশয় দেখা দিয়েছে অনেকের মধ্যে। এদিকে বাংলায় বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি ঠিক হলেই উপনির্বাচনের জন্য দিন ঘোষণা করা হবে। তার মধ্যেই যশবন্ত সিনহা উস্কে দিলেন ভয়ঙ্কর এক সম্ভাবনার কথা। ফলে এখন বাংলায় উপনির্বাচনের জন্য কমিশন কবে দিন ঘোষণা করে সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।