সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলের কংগ্রেসের সবথেক জনপ্রিয় স্লোগান ছিল ‘খেলা হবে’। প্রতিটি সভায় নিয়ম করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ব্যবহার করেছেন এই স্লোগান। সঙ্গে স্থানীয়দের লক্ষ্য করে ছুড়ে দিয়েছেন ফুটবল। বেরিয়েছিল গানও। যা বাজতে শোনা গিয়েছিল সর্বত্র। তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসার আগেই মমতা বন্দ্যোপধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ক্ষমতায় এসে ‘খেলা হবে’ নামে প্রকল্প আনবেন তিনি। তবে এবার শুধু প্রকল্প নয় ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
ভোট পরবর্তী সময়েও কমেনি সেই জনপ্রিয়তা। বরং উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগে সমাজবাদী পার্টির নেতাদের মুখে ঘুরছে বাংলার স্লোগান। আর এর মাঝেই ‘খেলা হবে’ এবার দিবসের মর্যাদা পেতে চলেছে। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে গোটা রাজ্যে খেলা হবে দিবস পালন হবে। তবে কবে এই দিবস পালন হচ্ছে, সেই দিন ঘোষণা করেননি মুখ্যমন্ত্রী।
একুশের ভোটে প্রচারে বেরিয়ে বার বার ‘খেলা হবে’ বলেত শোনা গিয়েছে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই পথ অনুসরণ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের অন্যান্য নেতারাও। বিরোধিরা এনিয়ে হিংসাকে প্রশয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূলের দিকে। তবে সেই সব অভিযোগ ধোপে টেকেনি। বাংলায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয় স্লোগান।
এরপরেই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, খেলা হবে নামে রাজ্যে নতুন প্রকল্প আনা হবে। বিধানসভায় জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার জানান, শুধু প্রকল্প নয় রাজ্য সরকার খেলা হবে দিবস পালন করবে। কোন তারিখে এই দিবস পালন করা হবে, এদিন বিধানসভায় মমতা অবশ্য তা ঘোষণা করেননি। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওইদিন ৫০ হাজার ফুটবল বিতরণ করা হবে। ঘরে ঘরে ফুটবল পৌঁছে দেওয়া হবে। খেলা হবে প্রকল্পের লক্ষ্যই হবে, ফুটবলকে বাংলার ঘরে-ঘরে পৌঁছে দেওয়া। ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এই প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার।
তবে প্রকল্প সূচনার দিনই কি এই দিবস পালন করা হবে, তা অবশ্য জানা গিয়েছে ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাবে ফুটবল বিতরণ করা হবে। রাজ্য সরকারের আশা, এর ফলে গ্রাম বাংলার বহু ফুটবলার উঠে আসবে। আর ফুটবলের প্রতি সকলের আগ্রহ জন্মাবে। প্রতিটি জেলায় যুব আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় যতগুলি ক্লাব রয়েছে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে। ২৮ জুনের মধ্যে সেই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নবান্নকে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি কতকগুলো ক্লাবকে কীভাবে ফুটবল বণ্টন করা হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জুলাই থেকেই ফুটবল বণ্টনের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।