শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি সফরে এলেন বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বিজেপির শিলিগুড়ি কার্যালয়ে দলের নেতৃত্বদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক ও আলোচনা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রের নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প, রাজ্যের অসহযোগিতা ও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিষয়ে মন্তব্য করে।
শান্তনু ঠাকুর জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিগত ১১ বছরে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, “ভারতের অর্থনীতিকে বিশ্বদরবারে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে ৪০টি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ, ৭০টি বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তর সাথে ২০০০ রেলস্টেশনকে ‘অমৃত ভারত প্রকল্পে’ সাজানো হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “ভারতের অর্থনীতির ৭০ শতাংশ বাণিজ্য পোর্টের মাধ্যমে হয়। তাই প্রতিটি বন্দরকে আধুনিক করা হচ্ছে। মালবাহী ট্রেন পৌঁছনোর সুবিধাও যুক্ত হচ্ছে।”
‘মেড ইন ইন্ডিয়া’-তে জোর, রপ্তানি বাড়াতে তৎপরতা মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী চাইছেন ভারতের উৎপাদিত সামগ্রী সারা বিশ্বে পৌঁছোক। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এক্সপোর্ট বাড়িয়ে ভারতের অর্থনীতিকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তোলা।”
তিনি উদাহরণ দেন, মাখনার মতো কৃষি পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে বলে জানান।
রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “রাস্তা নির্মাণে রাজ্য জমি দিচ্ছে না, ফলে কাজ আটকে যাচ্ছে। রাজ্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কেন্দ্রকে সহায়তা করছে না।”
তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ‘স্বাস্থ্য সাথী’ মুখ থুবড়ে পড়েছে। রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। রাজ্য সরকার কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যাচ্ছে।” তার দাবি, “আগামী দু’বছরের মধ্যে রাজ্যের উপর ৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা পড়বে।
মন্ত্রী আরো জানান,“‘অপারেশন সিন্দুর’ প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত। ভারতীয় সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার ভূমিকা গর্বের। ডিফেন্স সেক্টরে ভারত আজ অনেক বেশি উন্নত।”
মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানান, “সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ ধস ও প্রাকৃতিক কারণে থেমে থাকলেও, খুব শিগগির তা আবার শুরু হবে।
মন্ত্রী রাজনীতিকে জনসেবা বলেই মনে করেন। তিনি বলেন, “একটি সরকার যদি কোনও সম্প্রদায়কে ধোঁকা দেয়, তাহলে তার ফল আগামী ২৬ তারিখেই দেখতে পাবে।”
তবে রাজনৈতিক বিশেষ বিতর্কিত প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। স্মার্ট মিটার নিয়ে তার মত, “এটি সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্যই।”
