*”অমূল্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ”* চা ও খবরের কাগজের সাথে প্রত্যেক বাঙালির যেমন নিত্যসঙ্গী তেমন নস্টালজিয়া বাঙালিয়ানাও জড়িয়ে আছে তার সাথে। প্রত্যেক সকালে শুরুটা এক কাপ চা এর সাথে রাজ্য-রাজনীতি,দেশ-বিদেশে বিনোদন থেকে রাজনীতি প্রভৃতি খবর কাগজের পাতায় একবার না উল্টে পাল্টে না পড়লে তা বাংলা হোক বা ইংরেজি খবর হোক তাদের দিনের শুরুটাই ঠিক হয় না।
তাই প্রত্যেক সাংবাদিক বহু পরিশ্রম করে খবরের সত্যতা যাচাই করে খবর সংগ্রহ করে।সেটি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রিন্ট করে পৌঁছে যায় পাঠক পাঠিকাদের হাতে প্রত্যহ সকালে পৌছে যায়।কিন্তু এতো সাধের খবরের কাগজ সকালে সযত্নে গ্রহন করার পর পরেরদিন সকালে পৌঁছে যায় ডাস্টবিনে।এমন কি খবর কাগজ বিছিয়ে বসা,কাঁচ পরিষ্কার,বোতল পরিষ্কার,ঢোঙা,খাওয়ার টেবিলে বিছানো,দেওয়ালে মাড়ানো।বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।শিক্ষা সংস্কৃতির মূল মেরুদণ্ডই হল খবরের কাগজ! আর সেই মূল্যহীন কাগজের মধ্যে যে অমূল্য সম্পদ ভরা রয়েছে তার গুরুত্ব যেন একবার তা পড়া হয়ে গেলে কোথায় হারিয়ে যায় সম্পদে সমৃদ্ধ খবরের কাগজের তখন হয়ত হয়ে ওঠে মূল্যহীন।
তবে এরই মাঝে খুজে পাওয়া গেল এমন এক ব্যক্তিকে যিনি সংবাদপত্র ও পত্রে থাকা সাংবাদিকের লিখনের প্রতি সমান ভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন,খবর কাগজের মধ্যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে তা সংরক্ষণের মাধ্যমে সেই তথ্য গুলি তুলে ধরতে চেয়েছেন জনসমক্ষে।প্রসঙ্গত খবরের কাগজ কে এইভাবে অবহেলিত হতে দেখার পর থেকেই তাকে সংরক্ষণ করার ভাবনা উদয় হয়। এরপর যেমন ভাবা তেমন কাজ,তিনি ” *অমূল্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ* “বলে খবরের কাগজের একটি প্রজেক্ট শুরু করেন দীর্ঘ ৭বছর ধরে তিনি সংরক্ষণ করে চলেছেন বহু পুরোনো প্রায় ৭০_৮০বছরের খবর কাগজের তথ্যচিত্র, ৫২রকমের পত্র পত্রিকার সংবাদ সংগ্রহ শুধু তাই নয় তিনি আরও ১০ টি ভাষায় পত্র পত্রিকার উপর কাজ করেছেন।যে সমস্ত তথ্যচিত্র সংগ্রহ করেছেন তার মধ্যে কয়েকটি হল_
১.জওহরলাল নেহেরুর প্রথম পতকা উত্তলোনের তথ্যচিত্র।
২.মহাত্মা গান্ধীর শেষ অনশন ও অসহযোগ আন্দোলনের বৈঠকের তথ্যচিত্র ।
৩.১৮৭৪ সালে কলকাতা দৃশ্যের তথ্যচিত্র।
৪.কলকাতাতে যেদিন প্রথম ট্রাম চলে তার তথ্যচিত্র।
৫.১৯৫০ সালে প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবেসর তথ্যচিত্র।
৬.ক্ষুদিরামের ফাঁসির স্থলের তথ্যচিত্র।
৭.১৯১২ সালে টাইটানিক দৃশ্যের তথ্যচিত্র।
৮.মাদার টেরিজা যেদিন মারা যায় তার তথ্যচিত্র।
৯.প্রথম কার্গিল যুদ্ধ ও প্রথম বিধবা বিবাহের তথ্যচিএ।
১০.১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ,পুলওয়ামা অ্যাটাক,নোট বাতিল,ভুজের ভূমিকম্প,বুলবুল, আমফান ইত্যাদি এই রকমের ৯০০টি প্রমাণ পত্র তিনি B4 সাইজের কাগজের উপর খবর কাগজ মাড়িয়ে ল্যামিনেশান দেওয়ালে আটক তার সংরক্ষণ করেছেন।
এদিন তিনি এবিষয়ে বলেন,আমার প্রোজেক্টির মূল উদ্দেশ্য হল_” *সংবাদের মূল্য,সাংবাদিকের মূল্য এবং সর্বোপরি খবর কাগজের মূল্য*” তিনি আরও বলেন,তিনি সমাজের কাছে খবরের কাগজের গুরুত্ব বোঝানোতেই তার এই উদ্যোগ এছাড়াও পত্র পত্রিকার ভিতরে কী অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন তথ্যচিএ লুকানো থাকে তা সমাজ ও নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেও তার এই উদ্যোগ বলে জানান তিনি।