সারদা-কাণ্ড মামলায় জামিন পেল দেবযানি!

সারদা চিটফান্ড মামলায় জামিন পেলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়। আউশগ্রাম থানার একটি মামলায় ৭ বছর তাঁকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়নি। তাঁকে আদালতে পেশ করার জন্য গত ২ মার্চ দমদম সেন্ট্রাল জেলের সুপারকে নির্দেশ দেন সিজেএম সুজিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন দেবযানীকে আদালতে পেশ করা হচ্ছে না তাও জানতে চান বিচারক।নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দেবযানীকে আদালতে পেশ করা হয়।

জেল সুপার একটি রিপোর্ট পেশ করে জানান, গত বছরের ২০ মার্চ দমদম সেন্ট্রাল জেলে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তার ফলে বেশকিছু নথিপত্র নষ্ট হয়ে যায়। দেবযানীকে আদালতে পেশ সম্পর্কিত নথিও নষ্ট হয়ে যায়। সে কারণে তাঁকে আদালতে পেশ করা যায়নি।দেবযানীর আইনজীবী সৈয়দ আশিক রসুল আদালতে বলেন, মামলায় চার্জশিট পেশ হয়েছে। যেসব ধারায় চার্জশিট পেশ হয়েছে সেগুলি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য। সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভূঁইঞা অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেন। সওয়াল শুনে ২ হাজার টাকার বন্ডে দেবযানীর জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রাম থানার গুসকরা হাটতলার বাসিন্দা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় সারদায় ৩ লক্ষ টাকা জমা রাখেন। সেই সময় নিত্যানন্দ গুসকরা পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলার ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তিনি টাকা ফেরত পাননি। ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল তিনি আউশগ্রাম থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এসবের মধ্যেই অন্য মামলায় সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী গ্রেফতার হন।আউশগ্রাম থানার মামলায় তাঁদের গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তদন্ত সম্পূর্ণ করে সেই বছরেরই ২৩ ডিসেম্বর তদন্তকারী অফিসার বিজয় কুমার ঘোষ সুদীপ্ত, দেবযানী, মনোজ কুমার নাগেল ও অরুণ কুমার পালের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেন। দেবযানী ছাড়া বাকিরা আগেই এই মামলায় জামিন পেয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামনে এসেছিল নারদা-কাণ্ড। একের পর এক নেতার-মন্ত্রীর হাতে টাকা তুলে দেওয়ার ভিডিও ফাঁস হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। এবার আরও একটা বিধানসভা নির্বাচন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হলেও ক্রমশ সরগরম হচ্ছে বাংলার রাজনীতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here