ইজরায়েলের এক খবরের কাগজে শিরোনাম–‘ব্রিদিং ফ্রিলি’। কিন্তু কেন হঠাৎ এই স্বাধীন ভাবে শ্বাস নেওয়ার প্রসঙ্গ খবরের কাগজের শিরোনাম!
আসলে কড়া ভাবে নিয়ম মানা এবং টিকাকরণে চূড়ান্ত সাফল্যই ইজরায়েলে এনে দিয়েছে এই খোলা হাওয়া। যদিও এখনও চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। কারণ, বাকি পৃথিবী এখনও করোনা কবলিত। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলে ১৬ বছরের বেশি বয়স হলেই টিকা।দেওয়া হচ্ছে। সেই হিসেবে ৮১ শতাংশ ইজরায়েলবাসীরই কোভিড টিকার দুটি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ইজরায়েলের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দার টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
মূলত, গত বছর ডিসেম্বরে সর্বপ্রথম টিকাকরণ শুরু করেছিল ব্রিটেন। তারপরে টিকাকরণে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকা। এর পরেই টিকাকরণ চালু করেছিল ইজরায়েল। কিন্তু অন্য দুই দেশ টিকাকরণে গতি হারালেও ইজরায়েল শুরু থেকেই এ বিষয়ে দারুণ কাজ করেছে। পাশাপাশি কড়া করোনাবিধিও তারা বজায় রেখেছে। তাই দেশটি করোনা মোকাবিলায় এত সাফল্য় পেয়েছে। এই মুহূর্তে ইজরায়েলে করোনা-সংক্রমণও যেমন কম, করোনারোগীর সংখ্যাও তেমন কম। ফলে সে দেশের মানুষ এখন মাস্কহীন ভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন।