দু’ঘণ্টার উপর সওয়াল-জবাব। তার পরেও নারদ মামলায় গ্রেফতার চার নেতা-মন্ত্রীর জামিন অথবা মামলা স্থানান্তরের কিনারা হল না কলকাতা হাইকোর্টে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা শুনানির পর হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় শুনানি হবে।
এদিন দীর্ঘক্ষণ শুনানি চলার পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা কি আগামীকাল শুনানি করতে পারি”?কোভিড পরিস্থিতিতে নেতা-মন্ত্রীদের জেলে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল জানান, “অভিযুক্তরা হাসপাতালে রয়েছেন। ফলে আগামীকাল শুনানি হতে পারে”। এপ্রসঙ্গে অভিযুক্তদের আইনজীবী বলেন, “এক জন অভিযুক্ত হাসপাতালে নেই”।এরই মধ্যে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা কি পাঁচ মিনিটের বিরতি নিতে পারি? আমি কিছু বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করতে চাই”। বেঞ্চ বিরতিতে যায়। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে থাকেন বিচারপতিরা।শুনানি পুনরায় শুরু হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি ফের বলেন, “আমরা কি আগামীকাল শুরু করতে পারি, কারণ আজ তো শেষ হল না”! আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি (অভিযুক্তের) অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান।
তিনি বলেন, “অভিযুক্ত হাসপাতালে রয়েছেন। সেখান থেকে তাঁরা কী ভাবে পালিয়ে যাবেন”? এ ভাবেই দল ’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাদানুবাদ চলে। শেষমেষ বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় ফের এই মামলার শুনানি হবে।